Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 10:13 am

নিয়োগ-পদোন্নতি-উচ্চতর গ্রেড দিতে কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি ও উচ্চতর গ্রেড দিতে পাঁচটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি তিনটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।

এর মধ্যে মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরের ক্ষেত্রে রাজস্ব খাতভুক্ত ১১-২০ (আগের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি) গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ বা পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অন্যদিকে দপ্তর, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরের যুগ্মসচিব বা সমগ্রেডভুক্ত পদের একজন কর্মকর্তাকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের সরকারি দপ্তর, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরের জন্য গঠিত বিভাগীয় নিয়োগ বা পদোন্নতি, উচ্চতর গ্রেড প্রদান কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সরকারি কর্মকমিশনের আওতাবহির্ভূত সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আওতাধীন দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তরের ৭-৯ গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দিতে একটি কমিটি,  ১০-১২ গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দিতে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া সরকারি কর্ম কমিশনের আওতাবহির্ভূত মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আওতাধীন এবং স্বশাসিত সংস্থার চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ গ্রেডের পদে নিয়োগ বা পদোন্নতি দিতে আগের জারি করা পরিপত্র বাতিল করে নতুন করে বিভাগীয় নিয়োগ, পদোন্নতি কমিটি করা হয়েছে।

সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি ও উচ্চতর গ্রেড দিতে এ পাঁচটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। এর মাধ্যমে আগের জারি করা পরিপত্রগুলো বাতিল করা হয়েছে।

২০১৫ সালে অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এরপর দফায় দফায় গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবার নিয়ে জীবনধারণ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ৬০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি ও ৯ম জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীরা।

গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।

এ সময় তারা বলেন, সর্বশেষ ২০১৫ সালে অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল প্রদানের পর গত আট বছরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ওষুধ, চিকিৎসা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির শতভাগ মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি কর্মচারীরা অর্থকষ্টে জীবনযাপন করছেন। গত আট বছরে বার্ষিক পাঁচ শতাংশ হারে মোট ৪০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি হলেও অবশিষ্ট ঘাটতি পূরণের জন্য ৬০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন বেতন বৃদ্ধি ও ৯ম জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারী সমিতির মহাসচিব ছালজার রহমান বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্ট বৈষম্য নিরসনকল্পে বাংলাদেশ সচিবালয়ের মতো সচিবালয়বহির্ভূত দপ্তর, প্রতিষ্ঠান, বিভাগীয় কমিশনার, ডিসির দপ্তরে কর্মরত প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, স্টেনোগ্রাফার, কম্পিউটার অপারেটরসহ সমমানের সমমর্যাদার কর্মচারীদের পদবি প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও বেতন স্কেল, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্বপদে দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল, ডিপ্লোমা নার্সদের মতো সমশিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন ডিপ্লোমা হেলথ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা প্রদান ও বেতন স্কেল দিতে হবে।

এ সময় সমিতির সভাপতি মো. লুৎফর রহমান, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন উর রশীদ, কার্যকরী সভাপতি মো. নূরুন্নবী, মো. রায়হান উদ্দিন চৌধুরী, মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।