নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস চায় বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরে গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে পোশাকশিল্পের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তাই শিল্পের স্বার্থে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ না দেওয়া পর্যন্ত গাজীপুরসহ পোশাকশিল্পঘন সব এলাকায় বিকল্প উপায়ে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সংযোগের দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। একই সঙ্গে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর আহবান জানিয়েছে সংগঠনটি।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ’র নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল এ দাবি জানানো হয়। পোশাকশিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কিছুদিন ধরে গাজীপুর, আশুলিয়া, কোনাবাড়ী এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো হয়েছে। সমস্যা সমাধানে সরকার একটি সার কারখানা বন্ধ করে সেখান থেকে গ্যাস সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।  শনিবারের (আজ) মধ্যে গ্যাসের প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে। তিনি আরও বলেন, এলএনজি না আসা পর্যন্ত সুষ্ঠু বণ্টনের মাধ্যমে গ্যাস সংকট সাময়িকভাবে মোকাবিলা সম্ভব। এজন্য সরকারকে অগ্রাধিকার চিহ্নিত করতে হবে। ২০১৮ সালের এপ্রিল নাগাদ সরকার এলএনজি সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ টাইমলাইনের মধ্যেই গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের শুনানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পোশাক খাত ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। গত অর্থবছরে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ২০ শতাংশ। এমনিতে ডলারের অবমূল্যায়ন, পণ্য খালাসের লিড টাইম বেশি, অবকাঠামো দুর্বলতার কারণে প্রতিযোগী সক্ষমতা কমছে। এ অবস্থায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে পোশাক খাতের প্রতিযোগী সক্ষমতা আরও কমে আসবে।

তিনি আরও বলেন, পোশাকশিল্পের স্বার্থে অবিলম্বে টঙ্গী-গাজীপুর রাস্তা সংস্কার, আশুলিয়া-বাইপাইল ব্রিজ পর্যন্ত সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ ও শাহজালাল বিমানবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক আলোচনার বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, ইউরোপের ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড সরকারের কাছে মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে। এর যুক্তিতে তারা বলছে, অফিস গোছগাছ ও কর্মীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে এ সময়ের প্রয়োজন। এ সময়ের মধ্যে তারা ট্রানজিশনাল অ্যাকর্ড নামে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অ্যাকর্ড নিরাপত্তা সংস্কারের ফলোআপ কাজটি একটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন (আরসিসি) সেলের কাছে হস্তান্তর করবে। শ্রম মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন, ব্র্যান্ড ও আইএলও প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হবে। এ মনিটরিং কমিটি রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেলের কাছে অ্যাকর্ডের দায়িত্ব হস্তান্তর কার্যক্রম পর্যালোচনা করবে। ১ নভেম্বর এ মনিটরিং কমিটির প্রথম সভা হবে। এ মনিটরিং কমিটি ছয় মাসের মধ্যে সরকার, অ্যাকর্ড ও বিজিএমইএ’র কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে। আরসিসির সক্ষমতাসংক্রান্ত প্রথম প্রতিবেদন ১ জুলাই ও দ্বিতীয় প্রতিবেদন মে মাসে উপস্থাপন করা হবে। যদি সরকার, অ্যাকর্ড স্বাক্ষরকারী ও স্টেকহোল্ডাররা আরসিসি’র কাজে সন্তুষ্ট হয় তাহলে অ্যাকর্ড ছয় মাসের মধ্যে চলে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি এসএম মান্নান কচি, মাহমুদ হাসান খান বাবু প্রমুখ।

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০