Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 3:11 pm

নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে রাজি হামাস

শেয়ার বিজ ডেস্ক: গাজায় চলমান সংঘাতে যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যে প্রস্তাব পাস হয়েছে, তা মেনে নিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। খবর: রয়টার্স।

গতকাল মঙ্গলবার হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছেন তারা। তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মেনে নিয়েছে হামাস।

ইসরায়েল যেনও প্রস্তাবটি মেনে চলে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের বলে উল্লেখ করে আবু জুহরি বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী, অবিলম্বে দখলদারদের যুদ্ধ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রকৃত পরীক্ষার মুখে রয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

গত সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেয়া প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে। এর ফলে গাজায় আট মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এর বাস্তবায়ন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

ভোটের পরে এক বিবৃতিতে যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি। কীভাবে যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো বাস্তবায়ন করা যায়, সে নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে তারা। প্রস্তাব পাসের পর জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, এটা বাস্তবায়নের ভার এখন ইসরায়েলের হাতে।

তবে ভোটের পর জাতিসংঘে ইসরায়েলি দূত গিলাদ এরদান বলেছেন, গাজা নিয়ে এমন কোনো অর্থহীন ও দীর্ঘমেয়াদি আলোচনায় জড়াবে না তারা, যেটা হামাস নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাতে পারে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত হয়েছে অন্তত ৩৭ হাজার ১২৪ ফিলিস্তিনি। আহত কমপক্ষে ৮৪ হাজার ৭১২ জন। আর হামাসের হামলায় নিহত হয়েছে এক হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি।

এদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার মধ্যেই যুদ্ধপরবর্তী গাজা কেমন হবে, তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন আরব দেশগুলোর নেতারা। যুদ্ধের পর গাজা পুনর্গঠনে সহায়তার ক্ষেত্রে তাদের প্রধান শর্ত ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি। এ স্বীকৃতি আদায়ে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা।