নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন-হাইজিন খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো। গত কয়েক বছরে এ খাতে বরাদ্দ বাড়লেও বৈষম্য রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে তারা।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা। সংবাদ সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে পিপিআরসি, ওয়াটারএইড, ফানসা, এফএসএম নেটওয়ার্ক, স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অলসহ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা।

বক্তারা জানান, সামগ্রিকভাবে এ খাতে তিন ধরনের বৈষম্য লক্ষ্য করা যায়, যা সমাধান করা উচিত। গ্রাম-শহরের বৈষম্য, আন্তঃনগর বৈষম্য এবং বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে পৌঁছানো কঠিনÑএমন কিছু এলাকায় কম মনোযোগ দেয়া হয়। বরাদ্দের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সব ধরনের বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন। পাশাপাশি ওয়াশ খাতের বরাদ্দ এডিপি বৃদ্ধির আকারের সমানুপাতিক বা উচ্চতর হতে হবে।

অর্থনীতিবিদ ও পিপিআরসি নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ৬নং লক্ষ্য হলো সবার জন্য নিরাপদ পানীয় জল এবং স্যানিটেশন নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যমাত্রা সঠিক সময়ে অর্জন নিশ্চিত করতে হলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বৃদ্ধির হার এবং উন্নয়ন বাজেটের সঙ্গে ওয়াশ খাতের বরাদ্দকেও তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

তিনি বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে এডিপি বরাদ্দের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসন এবং সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিকার দেয়া জরুরি। চর, হাওর, পাহাড়ি অঞ্চলসহ জলবায়ুগত ঝুঁকির আওতাধীন সুবিধাবঞ্চিত এলাকা এবং নগরগুলোর মধ্যকার বরাদ্দ বৈষম্য নিরসন করা প্রয়োজন।

হোসেন জিল্লুর রহমান আরও বলেন, ওয়াশ খাতের জন্য এডিপির বরাদ্দ ওঠানামা এবং কম আনুপাতিক বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাতে (এমডিজি) ওয়াশ খাতের তুলনায় এসডিজি যুগের ওয়াশ খাতের লক্ষ্যমাত্রা আরও জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং। এখন নিরাপদ খাবার পানি এবং নিরাপদ স্যানিটেশনের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় ওয়াশ খাতের বেশ প্রশংসনীয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায় যদিও বিশ্লেষণাত্মক রিপোর্ট দেখায় যে প্রবৃদ্ধি সামগ্রিক এডিপির আকার বৃদ্ধির হারের সমানুপাতিক ছিল না। লক্ষ্য করা যায় যে, এডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশ থেকে ওয়াশ খাতের বরাদ্দের জন্য ৫.৪৪ শতাংশ খুবই কম। ওয়াশ খাতের বরাদ্দের ক্ষেত্রে অনুপাতের তুলনায় এই ধরনের কম বৃদ্ধি এসডিজি ৬-এ সরকারের প্রতিশ্রুতি সময়মতো অনুধাবনের বেলায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এ সময় আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কিশোরী ও প্রজননক্ষম নারীদের মাসিককালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরিতে ব্যবহƒত কাঁচামালসহ স্থানীয় পর্যায়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রয়ের ওপর ধার্যকৃত বিদ্যমান সব ধরনের শুল্ক ও কর শতভাগ মওকুফ করার জোর দাবি জানানো হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০