Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 4:01 am

নির্দলীয় সরকার গড়তে বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী ও ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে নির্দলীয় সরকার গড়তে বিরোধী দলের উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন। প্রধান বিরোধী দলের নেতা সাজিথ প্রেমাদসাকে লেখা চিঠিতে সর্বদলীয় সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান তিনি। খবর: কলম্বো পেজ।

চিঠিতে নতুন প্রধানমন্ত্রী লেখেন, দলীয় রাজনীতি পাশে সরিয়ে রেখে সবার জনগণের মুখোমুখি হওয়া উচিত। কালবিলম্ব না করে টেকসই অর্থনীতি গড়া উচিত। তিনি আশা প্রকাশ করেন, পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের সমর্থন নিয়ে রাজনৈতিক পথ তৈরি করতে হবে, যা জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণ করবে।

নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে বর্তমান অবস্থা থেকে মুক্ত করতে একটাই রাস্তা খোলা আছে, নতুন রাজনৈতিক পথে সবার সর্বাচ্চ শক্তি ও অঙ্গীকার দিয়ে দেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে যাওয়া।

চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দল ও সামাজি জানা বালাওয়েগায়ায়ের নেতা (এসজেবি) সাজিথ প্রেমাদাসাকে তার দল ও গ্রæপসহ সবাইকে সরকারে আমন্ত্রণ জানান। রনিল জানান, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন নিয়ে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নত করতে সব দলকে হাত বাড়িয়ে সমন্বিত চেষ্টা চালাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তার চিঠিতে এসব বিষয়ে বিরোধীদলীয় নেতার কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।

এদিকে বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা পালনের জন্য গতকাল শ্রীলঙ্কাজুড়ে জারি থাকা কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে। বৌদ্ধ অধ্যুষিত দেশটির নাগরিকরা এদিন সব ভুলে প্রার্থনা ও উৎসবে মেতে ওঠেন। তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত-বিক্ষুব্ধ শ্রীলঙ্কানদের জীবনে খানিকটা শান্তির পরশ হয়ে এসেছে বুদ্ধ পূর্ণিমা। এদিন অনেক সরকারি ও বেসরকারি ভবনে বৌদ্ধ ধর্মের প্রতীক নানা রঙের পতাকা উড়তে দেখা যায়। লোকজন পুরো সাদা রঙের পোশাক পরে মন্দিরে প্রার্থনা করতে যান। সেই প্রার্থনায় তারা দেশে শান্তি কামনা করেন।

ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার মানুষদের ওপর হঠাৎ যে অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে এসেছে তার জন্য তারা মোটেও প্রস্তুত ছিল না।  এজন্য তারা দেশটির সরকারকে দায়ী মনে করে এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে আসছে। শুরুতে ওই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল। ব্যত্যয় ঘটে গত ৯ মে। ওই দিন প্রথমে সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের সমর্থকরা কলম্বোয় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেন। তারপর শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘাত, যাতে নয়জন নিহত ও তিন শতাধিক মানুষ আহত হন। পদত্যাগে বাধ্য হন মাহিন্দা। দেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়।