নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকগুলো রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ঋণ সময়মতো পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে তাদের ৪ শতাংশ হারে পেনাল সুদ দিতে হবে। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
ইডিএফের শর্ত অনুসারে, ঋণগ্রহীতা তাদের রপ্তানি থেকে উপার্জনের ১৮০ দিনের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে এই ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ২৭০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
ইডিএফ থেকে আগে ব্যাংকগুলো ২ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে তহবিল নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে ৪ শতাংশ সুদে বিতরণ করত। গত ফেব্রুয়ারি থেকে ব্যাংকগুলোকে বার্ষিক ৩ শতাংশ সুদে অর্থ নিতে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ হবে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে। গত ২০ জুলাইয়ের আগে এ তহবিল থেকে ২ শতাংশ সুদে ঋণ পেতেন রপ্তানিকারকরা। ২০ জুলাই ৩ শতাংশ এবং ১৩ নভেম্বর ৪ শতাংশ করা হয়।
শরিয়াহ-ভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে, বিলম্বিত সময়ের জন্য ইডিএফ ঋণের অতিরিক্ত পরিমাণে প্রচলিত সুদের হারের ওপরে বার্ষিক ৪ শতাংশ হারে শাস্তিমূলক সুদ বা ক্ষতিপূরণ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইডিএফ ফান্ডের আকার কমিয়ে এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১ বিলিয়ন কমানো হয়। ইডিএফ ফান্ড কমলেও রপ্তানিকারকরা যেন অর্থায়নের সমস্যায় না পড়েন, সে জন্য গত ১ জানুয়ারি ১০ হাজার কোটি টাকার একটি রপ্তানি সহায়ক তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখান থেকে ব্যাংকগুলো ১ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে তহবিল নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে। এর মানে টাকার ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলো সুদ মার্জিন বেশি পাবে। আবার গ্রাহক পর্যায়েও সুদহার হবে কম। এ তহবিল থেকে ঋণ বিতরণে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ৪৯টি ব্যাংকের চুক্তি হয়েছে।
ইডিএফ থেকে রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রয়োজনীয় উপকরণ আমদানির জন্য ঋণ দেয়া হয়। মূলত তৈরি পোশাক, বস্ত্র ও প্লাস্টিক খাতের রপ্তানিকারকরা এ তহবিল থেকে ঋণ নেন। তুলা, সুতা, বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল আমদানির জন্য যা ব্যবহার করার কথা। রপ্তানি সহায়ক তহবিল থেকেও একই কারণে ঋণ দেয়া হবে।