নির্বাচনী আচরণবিধি: কী করবেন কী করবেন না

কুন্তল বিশ্বাস: ৭ জানুয়ারি ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে চারদিকে এখন পুরোদমে শুরু হয়েছে নির্বাচনী আমেজ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের খবর এরই মধ্যে বেশ আলোচিত, যার অধিকাংশই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা সম্পর্কিত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ৯১-খ ধারার ক্ষমতাবলে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন আচরণ বিধিমালা প্রণয়ন করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। এই আচরণবিধি প্রার্থী, রাজনৈতিক দল, সমর্থকসহ সবার জন্য প্রযোজ্য। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা সম্পর্কিত আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ সংখ্যায় বেশি হলেও, নির্বাচনের আচরণবিধি শুধু প্রচার-প্রচারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এর সম্পর্ক পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা কী হবে, সরকারের আচরণ কেমন হবে, কারা সরকারি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন, কারা পারবেন না, প্রার্থীদের আচরণ, দলগুলোর আচরণ, সংসদ সদস্য, মন্ত্রিসভার সদস্য সবার ব্যাপারেই এই আচরণবিধি প্রযোজ্য। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সরকারের যেকোনো সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, সিদ্ধান্ত সবই এই আচরণবিধির তথা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকে। নির্বাচন কমিশন তার সিদ্ধান্তে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে।

নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার শুরুতেই রয়েছে নির্বাচন সম্পর্কিত বিভিন্ন শব্দের সংজ্ঞা ও তার ব্যাখ্যা। এ অংশে ‘কমিশন’, ‘নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল’, ‘নির্বাচনী এলাকা’, ‘নির্বাচন-পূর্ব সময়’ ইত্যাদি বলতে কী বোঝানো হয়েছে এবং ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষ’ ও ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে সে বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। পরবর্তী অংশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের যেসব আচরণবিধি মানতে হবে, তার উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আচরণবিধি হলোÑকোনো প্রার্থী কিংবা তার পক্ষ হতে অন্য ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে উক্ত প্রার্থীর নির্বাচনী এলাকায় বসবাসকারী কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা উক্ত এলাকায় বা অন্যত্র অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো প্রকার চাঁদা বা অনুদান প্রদান বা প্রদানের অঙ্গীকার করতে পারবে না। নির্বাচনপূর্ব সময়ে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উম্মোচন করা যাবে না। উপরন্তু, উল্লিখিত সময়ে কোনো সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সরকারি বা আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল হতে কোনো প্রকার অনুদান ঘোষণা বা বরাদ্দ প্রদান বা অর্থ অবমুক্ত করতে পারবে না। সরকারি ডাকবাংলো, রেস্ট হাউস, সার্কিট হাউস বা কোনো সরকারি কার্যালয়কে কোনো দল বা প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে প্রচারের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী বা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি প্রচারণার ক্ষেত্রে সমান অধিকার পাবে। তবে প্রতিপক্ষের সভা, শোভাযাত্রা এবং অন্যান্য প্রচারাভিযানে বাধা প্রদান করতে পারবে না। সভা করতে চাইলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি গ্রহণ করতে হবে এবং প্রস্তাবিত সভার কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে তার স্থান ও সময় সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। উপরন্তু, জনগণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারেÑএমন কোনো স্থানে জনসভার আয়োজন করা যাবে না। যথাযথ অনুমতি সাপেক্ষে আয়োজিত সভায় কেউ গোলযোগ সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে নিজেরা ব্যবস্থা গ্রহণ না করে পুলিশের শরণাপন্ন হতে হবে।

কোনো প্রার্থী কিংবা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি সিটি করপোরেশন বা পৌর এলাকায় অবস্থিত কোনো দালান, গাছ বা অন্য দণ্ডায়মান বস্তুতে, সকল সরকারি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের স্থাপনাসমূহে কিংবা বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে কোনো প্রকার পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগাতে পারবে না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিলের ক্ষতিসাধন বা এর ওপর নিজস্ব পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না। প্রচারণায় ব্যবহƒত পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল আচরণবিধিতে উল্লিখিত নির্দিষ্ট মাপ ও নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরি করতে হবে। কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন, কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন সহকারে মিছিল কিংবা মশাল মিছিল বের করতে পারবে না কিংবা কোনোরূপ শোডাউন করতে পারবে না। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ও কোনো প্রকার মিছিল বা শোডাউন করা যাবে না। নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি ভোটকেন্দ্রের নির্ধারিত চৌহদ্দীর মধ্যে যান্ত্রিক যানবাহন চালাতে পারবে না। কোনো প্রার্থী বা কোনো প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়ন পত্র সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমাদানের সময় অন্য কোনো প্রার্থী বা কোনো ব্যক্তি বাধাদান করতে পারবে না। কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী বা তাদের পক্ষে অন্য কেউ দেয়াল, দালান, সেতু, সড়ক বা অন্য কোনো স্থাপনায় প্রচারণামূলক কোনো লেখা বা চিত্র অংকন করতে পারবে না। নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রতীক হিসেবে কোনো জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না। কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী বা তাদের পক্ষে অন্য কেউ নির্বাচনী প্রচারণার জন্য চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এমন কোনো তোরণ, ক্যাম্প বা ৪০০ বর্গফুটের অধিক কোনো প্যান্ডেল বা কোনো আলোকসজ্জা করতে পারবে না। প্রতিটি ইউনিয়নে সর্বোচ্চ একটি এবং প্রতিটি পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের এলাকার প্রতি ওয়ার্ডে একের অধিক প্রচারণা ক্যাম্প স্থাপন করা যাবে না। প্রচারণার জন্য প্রার্থীর ছবি বা প্রার্থীর পক্ষে বক্তব্য সংবলিত কোনো টিশার্ট বা ফতুয়া ব্যবহার করা যাবে না। উপরন্তু, কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর পক্ষ হতে ভোটারগণকে নির্বাচনী ক্যাম্পে কোনো কোমল পানীয় বা খাদ্য বা উপঢৌকন পরিবেশন বা প্রদান করা যাবে না। কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে না। প্রচারণাকালে প্রতিপক্ষকে হেয় করে কোনো তিক্ত, কটু বা সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করা যাবে না। নির্বাচন উপলক্ষে কোনো নাগরিকের সম্পত্তির ক্ষতিসাধন ও গোলযোগের মাধ্যমে তার শান্তি ভঙ্গ করা যাবে না। কমিশনের অনুমোদন ব্যতীত ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে কেউ কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিপক্ষে বা পক্ষে ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য বলপ্রয়োগ বা অর্থব্যয় করতে পারবে না। সর্বোপরি সকল ধরনের প্রচার-প্রচারণা ভোটের জন্য নির্ধারিত তারিখের তিন সপ্তাহ পূর্বে শুরু করতে পারবে না। অধিকন্তু, প্রচারের জন্য শব্দ বর্ধনকারী সকল যন্ত্রের ব্যবহার বেলা ২ ঘটিকা হতে রাত ৮ ঘটিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা’ কী করতে পারবেন আর কী করতে পারবেন না, তার উল্লেখ আছে আচরণ বিধিমালার পরবর্তী অংশে। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মধ্যে আছেন প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমপদমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তাদের সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনী কর্মসূচি বা কর্মকাণ্ড যোগ করতে পারবেন না। তারা নিজের বা অন্যের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি যানবাহন, সরকারি প্রচারযন্ত্রের ব্যবহার বা অন্যান্য সরকারি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না এবং এ উদ্দেশ্যে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ব্যবহার করতে পারবেন না। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচিতে কর্তৃত্ব করতে পারবেন না বা এ-সংক্রান্ত সভায় যোগ দিতে পারবেন না। তিনি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে সভাপতি বা সদস্য হয়ে থাকলে বা তার মনোনীত কোনো ব্যক্তি পর্ষদে থাকলে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে তিনি বা তার মনোনীত ব্যক্তি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো সভায় সভাপতিত্ব বা অংশ নিতে পারবেন না অথবা ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো কাজে জড়িত হতে পারবেন না। নিজে প্রার্থী বা অন্য কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট না হলে ভোট দেয়া ছাড়া নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ বা ভোট গণনার সময় গণনাকক্ষে প্রবেশ বা উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এছাড়া নির্বাচনী প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়সীমা ও ভোটকেন্দ্রের প্রবেশাধিকার-সংক্রান্ত বাধা-নিষেধের উল্লেখ রয়েছে আচরণ বিধিমালায়।

আচরণ বিধির যে কোনো বিধানের লঙ্ঘন ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ হিসেবে গণ্য হবে এবং তদন্ত কমিটির সুপারিশে সত্যতা প্রমাণিত হলে শাস্তির বিধান রয়েছে এ বিধিমালার শেষ অংশে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য একজন প্রার্থীকে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়া যায়। আর রাজনৈতিক দলের বিধিমালা লঙ্ঘনের জন্য অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এত বিধিনিষেধ ও শাস্তির উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের খবর হরহামেশাই পাওয়া যাচ্ছে। এসকল খবরের অধিকাংশই প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত। মনোনয়ন পত্র বিক্রি, মনোনয়নের চিঠি বিতরণ, নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র দাখিল, নিজ নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শন সব ক্ষেত্রেই দেখা গেছে শোডাউন।

তবে বিগত নির্বাচনগুলোর তুলনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কি না, তা তদারকি করার জন্য গত ২৮ নভেম্বর থেকে মাঠে নেমেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন। আচরণ বিধি লঙ্ঘন বা পরিস্থিতির অবনতি হলে তারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন। ইতোমধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীকে তলব ও কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বক্তব্য স্পষ্ট, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আচরণবিধির পরিপন্থী ও নির্বাচন কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টিকারী সকল কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যক্তি ও দল নির্বিশেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে আচরণ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে তা প্রার্থী, রাজনৈতিক দল ও সমর্থকরা মেনে চললে শুধু নির্বাচনী পরিবেশের জন্যই নয়, প্রার্থীদের জন্যও ভালো হবে। আমরা তাই আশা করতেই পারি যে, রাজনৈতিক দলসমূহ, তাদের মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসমূহ এবং সমর্থকেরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনী আইন মেনে চলে দেশের সাধারণ জনগণকে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবেন।

পিআইডি নিবন্ধ

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০