নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন বেশ কয়েকজন বিদেশি পর্যবেক্ষক। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডিয়ান কয়েকজন পর্যবেক্ষক রয়েছেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
নির্বাচনের দিন (৭ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকার একটি হোটেলে সরকার ও নির্বাচন কমিশন আমন্ত্রিত পর্যবেক্ষকদের মধ্যে এই দুই দেশ থেকে আগত ‘পর্যবেক্ষক’রাও নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। তবে তাদের ওই বক্তব্য নিজস্ব, তা দুই দেশের সরকারের নয়।
গতকাল সোমবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেনি। নির্বাচন উপলক্ষে কয়েকজন বেসরকারি নাগরিক বাংলাদেশে ছিলেন। তাদের বক্তব্য নিজেদের বা তাদের প্রতিষ্ঠানের, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নয়।
কানাডা হাইকমিশন এক এক্স বার্তায় জানিয়েছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে কানাডার যে দুই নাগরিকের কথা বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে, তারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাই নির্বাচনের বিষয়ে তাদের (দুই পর্যবেক্ষক) মতামতের সঙ্গে কানাডা সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আমন্ত্রিত পর্যবেক্ষক হিসেবে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখে নানা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশের কয়েকজন পর্যবেক্ষক। পরে সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। এতে অংশ নেন কানাডার পার্লামেন্ট সদস্য চন্দ্রকান্ত আর্য ও সিনেটর ভিক্টর ওহ।
সংবাদ সম্মেলনে কানাডার পার্লামেন্ট সদস্য চন্দ্রকান্ত আর্য বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে। ভোটে রেকর্ডসংখ্যক নারী ভোটার উপস্থিত ছিলেন। আমরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। সুষ্ঠু ভোটপ্রক্রিয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অভিনন্দন জানাই।’
এক প্রশ্নের জবাবে চন্দ্রকান্ত আর্য বলেন, ‘যারা ভোট বর্জন করেছে, সেটা তাদের বিষয়, এটা আমাদের বিষয় নয়। কানাডায়ও ভোট ৪৩ শতাংশ পড়েছিল, সেটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। জনগণ ভোট দিতে পারছে কি না, এটাই দেখার বিষয়। ভোটার কত শতাংশ এল, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যারা এসেছে, তারা ঠিকমতো ভোট দিয়েছে নির্বিঘ্নে। তাই এ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণ নেই।’