নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী গতকাল ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নিজের মনোনয়ন ফরম জমা দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনে আমাদের গণফোরামের সভাপতি ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন কোনো আসনেই প্রার্থী হচ্ছেন না। এ ব্যাপরে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।’
সুব্রত বলেন, ‘আমাদের সভাপতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ফ্রন্ট তিনি পরিচালনা করছেন। তিনি আগেও বলেছিলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তিনি ঐক্য করেননি। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য জাতির স্বার্থে তিনি এই ঐক্যে শরিক হয়েছেন।’
বিএনপিসহ কয়েকটি নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত দল নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সাত দফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। সংসদ ভেঙে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ছিল তাদের ওই সাত দফার মধ্যে।
এসব দাবি নিয়ে কামাল হোসেনের নেতৃত্বেই গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দুই দফা সংলাপে অংশ নেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন জনসভায় কামাল হোসেন ‘প্রধান অতিথি’ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জোটের বড় দল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা নিয়ে আছেন কারাগারে। দণ্ডিত হওয়ায় তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি অনেকটাই অনিশ্চিত। আর খালেদার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত এক দশক ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন লন্ডনে। দুর্নীতির দুই মামলায় তার ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলায় হয়েছে যাবজ্জীবন সাজার রায়।
এ অবস্থায় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সে প্রশ্নও একাধিকবার রাখা হয়েছে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেনের সামনে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার মুখে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন বলেছিলেন, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া কিংবা রাষ্ট্রীয় কোনো পদ পাওয়ার ইচ্ছা তার নেই।
নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না ড. কামাল
