নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের প্রধান বিষয় অর্থনীতি

অর্থনীতি, গর্ভপাত ও অভিবাসনে নজর ভোটারদের

শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে আসছে নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিষয় হলো- অর্থনীতি, গর্ভপাত ও অভিবাসন। ভোটারদের মাঝে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব বিষয়ে আলোচনা হলেও প্রতিদিন তারা মূল্যস্ফীতির যাতাকলে পিষ্ট হয়ে অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজছেন। নিত্যপণ্যের অব্যাহত মূল্য বৃদ্ধিতে জীবনযাত্রার মান ধরে রাখতে ভীষণ কষ্ট করছেন নিউইয়র্কসহ দেশটির নাগরিকরা। খবর: এবিসি নিউজ।


তাই আগামী নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের কাছে প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে দেশটির অর্থনীতি। নিত্যপণ্যের অসহনীয় দাম মেটাতে গিয়ে জীবনযাত্রার মান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়ে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। ফক্স নিউজের সঙ্গে আলাপকালে অনেকে বলেছেন, শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, সংকট থেকে উত্তরণে প্রার্থীদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা চান তারা। পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্টরা বলছেন, নীল শিবিরের ঘাঁটি বলে পরিচিত নিউইয়ক রাজ্যে তরুণ থেকে বৃদ্ধ সবার মুখে এক কথা জীবন চালানো দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অধিকাংশ ভোটারের কাছে এবারের নির্বাচনে প্রধান বিষয় অর্থনীতি।

এদিকে নভেম্বরের নির্বাচন ঘিরে রেকর্ডসংখ্যাক তরুণ ভোটার অনলাইনে নিবন্ধন করেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট অ্যাডাম ওয়াইজ বলছেন, অধিকাংশ ভোটারের কাছে এবারের নির্বাচনে প্রধান বিষয় অর্থনীতি। তার মতে, নাগরিক জীবনের স্বস্তি ফিরে আসুক এমটাই চাইছেন বাসিন্দারা। রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশ থেকে বিশেষ করে চীন থেকে আমদানি পণ্যে কর বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের বড় কোম্পানিতে কর কমাতে চান। এমনকি ক্ষমতা গ্রহণের ১২ মাসের মধ্যেই কিছু কঠিন পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
অন্যদিকে ধনীদের ওপর কর বৃদ্ধি ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগে ভর্তুকি দেয়ার পক্ষে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিট সম্প্রসারণ ছাড়াও নবজাতক এবং নতুন পরিবারের আবাসনে বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

নিউইয়র্কের বাসিন্দারা বলছেন, শুধু একগাদা প্রতিশ্রুতি নয় সংকট থেকে উত্তরণে প্রার্থীদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার পাশাপাশি নিজেদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বলিষ্ট পদক্ষেপ চান তারা।
অথচও দুই প্রার্থীই যেসব আশ্বাস দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন পড়বে। অর্থাৎ চাইলেই নির্বাচিত হওয়ার পরও নিজ নিজ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না ট্রাম্প কিংবা হ্যারিস।
এদিকে অক্টোবরের ৭ তারিখে অনলাইনে ভোটার নিবন্ধন শেষ হচ্ছে বেশ কয়েকটি রাজ্যে। ভোট ডট অরগের সিইও আন্দ্রেয়া হেইলি জানিয়েছেন, নভেম্বরের নির্বাচন ঘিরে সাতটি সুইং রাজ্যসহ সারা দেশে রেকর্ডসংখ্যাক তরুণ ভোটার অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন।

রক দ্য ভোট প্রেসিডেন্ট ক্যারোলিন ডিউইট তরুণ ভোটার নিবন্ধন প্রসঙ্গে বলছেন, জেন-জিরা দেশের ভবিষ্যত নিয়ে বেশ উদগ্রীব। সেই সঙ্গে কোন প্রার্থী তাদের আকাঙ্খা পূরণে অপেক্ষাকৃত সক্ষম এবং আগ্রহী তাকে বেছে নিতে তারা যথেষ্ট সচেতন। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের প্রতিটিতে নিজস্ব ভোটিং পদ্ধতি রয়েছে। পোস্টের মাধ্যমে বা সশরীর গিয়ে আগাম ভোট, নির্বাচনের দিন ভোট বা এ তিনটি উপায়ে সমন্বিত ভোট সব ধরনের পদ্ধতিই রয়েছে অঙ্গরাজ্যগুলোয়। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পরিবারের যত দ্রুত সম্ভব ভোট দিয়ে ফেলা পারিবারিক ঐতিহ্য বলেও বিবেচিত হয়।

এরই মধ্যে জমে উঠেছে নির্বাচনী লড়াই। দেশটির ভোটারদের মধ্যে কেউ কেউ হাড্ডাহাড্ডি এ লড়াইয়ে তাদের মূল্যবান ভোট দিতে শুরু করেছেন। কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে গত শুক্রবার আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ভার্জিনিয়া, সাউথ ডাকোটা ও মিনেসোটার ভোটাররা সশরীর গিয়ে ভোট দিচ্ছেন।
গত কয়েক মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে নাটকীয় নানা ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে গিয়ে কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেওয়ার ঘটনাটি সবার নজর কাড়ে। এ ছাড়া দুবার ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে। এ ছাড়া টেলিভিশন বিতর্ক ঘিরেও দুই প্রচারশিবিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০