শেয়ার বিজ ডেস্ক:নির্বাচনে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নির্বাচনের সময় ঘটা এই সহিংসতার বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাওয়ার কথাও জানিয়েছে দেশটি।
এছাড়া বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবে বলে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ওয়াশিংটন নির্বাচন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
স্থানীয় সময় গত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ওই ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ওই সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারের কাছে সোমবার অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকার একটি আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থীর ওপর হামলার বিষয়টি তুলে ধরে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য জানতে চান।
ওই সাংবাদিক বলেন, আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ফিরে আসার পর বাংলাদেশের সরকার আবার বিরোধীদের ওপর আক্রমণের অবস্থানে ফিরে এসেছে এবং গতকাল একটি উপনির্বাচন হয়েছে। যদিও প্রধান বিরোধী দলগুলো এটি বয়কট করেছে, তারপরও এতে অংশ নেয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তিনি এখন হাসপাতালে। এই উপনির্বাচনে ১০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। তাই কীভাবে আপনি মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবেন, কেননা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না এবং সর্বশেষ উপনির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি এবং প্রার্থীরা হামলার শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে আপনার অবস্থান কী? আপনারা কি এগুলো দেখছেন?
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার যেকোনো প্রতিবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে, স্বচ্ছভাবে ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে এবং সহিংসতার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য উৎসাহিত করি।
তিনি আরও বলেন, আমি বলব, যেমনটি আমরা আগেই বলেছি, আমরা আশা করব, বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবে এবং আমরা তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকব।
এরপর ওই সাংবাদিক গত বুধবার রাতে নিউইয়র্কে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্যের সামনে বিরোধী দলের এক কর্মীর বিক্ষোভ এবং এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরে তার পরিবারের ওপর আক্রমণের বিষয়টি তোলেন।
জবাবে মিলার বলেন, আমি শুধু বলব, যে ধরনের সহিংসতার কথা আপনি উল্লেখ করেছেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে তার কোনো স্থান নেই।
সোমবার ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এদিন বিকাল সাড়ে ৩টায় বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে ভোটকেন্দ্রের বাইরে হিরো আলমের ওপর হামলার ওই ঘটনা ঘটে।
এমনকি মারধরের হাত থেকে বাঁচতে হিরো আলমকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করতেও দেখা যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে রামপুরার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।