শেয়ার বিজ ডেস্ক: নির্বাচন আয়োজনের জন্য পাকিস্তানি অর্থ মন্ত্রণালয়ের তহবিলে পর্যাপ্ত টাকা নেই। গত শুক্রবার পাকিস্তানি তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেবের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। খবর: ডন।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতা হারানোর পর থেকে বারবার আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে তাতে কান দেয়নি ক্ষমতাসীন সরকার। বরং আগামী আগস্টের জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার চিন্তা করছে তারা। এটি আটকাতে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পিটিআই চেয়ারম্যান। তবে যথাসময়ে নির্বাচন আয়োজন না করার পক্ষে অর্থ সংকটের নতুন যুক্তি দেখাচ্ছে পাকিস্তান সরকার।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সূচি অনুযায়ী, আগামী ৮ অক্টোবর পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা দেশটিতে।
খাজা আসিফ বলেন, চলতি বছর নির্বাচন হবে কি না, তা পুরোপুরি অনিশ্চিত, কারণ নির্বাচনের আয়োজন করার মতো তহবিল এ মুহূর্তে সরকারের হাতে নেই। তহবিল হাতে না আসা পর্যন্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা সম্ভব হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খানের ব্যাপক সমালোচনাও করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে পাকিস্তানের একটি বড় সমস্যার নাম ইমরান খান। তাকে গুপ্তহত্যার চেষ্টা চলছে বলে যে অভিযোগ তিনি করেছিলেন, তা ছিল মিথ্যা। ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি সাবেক সেনাপ্রধান কামার আহমেদ বাজওয়ার মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন, ক্ষমতা হারানোর পর এখন তাকেই দোষারোপ করছেন। এমনকি তিনি এটাও বলেছেন, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল।
খাজা আসিফের এ বক্তব্যের কিছুক্ষণ পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওবার্তা পোস্ট করেন ইমরান খান। সেখানে সরকারের নির্বাচন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ইমরান খান বলেন, নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি সংবিধানবিরোধী এবং পাকিস্তানে বর্তমানে প্রতারকদের শাসন চলছে।