নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন আয়োজন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনে (বাপা) প্রশাসক বসিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই ধরনের অচলাবস্থার মধ্যে প্রশাসক বসেছে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডাতেও।
বাপার একটি পক্ষ প্রশাসক নিয়োগের বিরোধিতা করে নতুন কার্যকরী কমিটি গঠনের চেষ্টা করলেও মন্ত্রণালয় তাতে সায় দেয়নি। ফলে এ সংগঠনে এখন একটি নির্বাচিত কার্যকরী কমিটি আছে, আবার মন্ত্রণালয়ের বসানো প্রশাসকও আছেন। এ পরিস্থিতিতে সব পক্ষই এখন সংকট সমাধানে নতুন করে আলোচনা শুরুর অপেক্ষায়।
জানা যায়, বারভিডার নির্বাচন আটকে গেছে কার্যকরী কমিটির সাবেক এক সদস্যের রিট মামলার কারণে। সেখানে প্রশাসক বসিয়ে নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা নীতি সহায়তা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে কাজ করার জন্য বসেছি। অথচ এখন (ব্যবসায়ীদের) দ্বন্দ্ব নিরসনেই সময় চলে যাচ্ছে। এসব সংগঠন ও তাদের নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।’
এ দুই সমিতিতে ভোটার তালিকা, নির্বাচনী তফসিল, নির্বাচনী বোর্ড, আপিল বোর্ডসহ বিভিন্ন ধাপে ব্যবসায়ী নেতাদের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মীমাংসার উদ্যোগ নিলেও সব পক্ষ তাতে সন্তুষ্ট নয়। বিষয়গুলো বিভিন্ন সময়ে আদালতেও গড়িয়েছে।
বারভিডার জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা জাকারিয়া মাহমুদ জানান, বারভিডার বর্তমান কার্যকরী কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু তারা মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন করতে পারেনি। এছাড়া সমিতির সাবেক এক সদস্য আনোয়ার সাদাতের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এ প্রেক্ষাপটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এফটিএ শাখার উপসচিব ছাদেক আহমদকে সংগঠনের নতুন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে।
বাপায় জটিলতা: বাপার সদ্য সাবেক পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক ইকতাদুল হক বলেন, সমিতির এক সদস্যের আপিলের কারণে পুরোনো ভোটার তালিকা থেকে বড় কোম্পানির ৫৯টি ভোট বাতিল হয়ে যায়। সেখান থেকেই বিরোধের শুরু। এরপর নির্বাচন কমিশনের তফসিলে গোঁজামিল ও এফবিসিসিআইয়ের রায় জটিলতা আরও বাড়িয়েছে।
এদিকে নির্বাচনের পর নতুন পর্ষদ গঠন হলেও ২৯ ডিসেম্বর প্রশাসক হিসেবে বাপায় যোগ দিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জিন্নাত রেহানা। বাপার সদ্য সাবেক সভাপতি ফখরুল ইসলাম মুন্সির আবেদনে এ প্রশাসককে নিয়োগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিটিও শাখার যুগ্ম সচিব ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সংগঠনগুলোর অভ্যন্তরীণ জটিলতার কারণে শেষ মুহূর্তে প্রশাসক নিয়োগ দিতে হয়েছে। এখন জটিলতা দূর করার চেষ্টা চলছে। আদালত থেকে কোনো নির্দেশনা পেলে আমরা সেটাও অনুসরণ করতে পারব।