নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আইন (আরপিও) ও দুদক আইন অনুযায়ী যা যা করা দরকার কমিশন তা-ই করবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। একইসঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয় দুদক এমন কোনো কাজ করবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ। গতকাল মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে দুদকের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে দুদক। রিপোর্টার্স এগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) সাধারণ সম্পাদক জেমসন মাহবুবের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক, কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. আছিয়া খাতুন, সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রমুখ।
চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কেবল দুদক ও দুদকের আইন দ্বারা সম্ভব নয়। দুর্নীতিবাজ, দুর্নীতি সহযোগিতাকারী এবং সুবিধাভোগী এই সংখ্যাটা কত শতাংশ। এত বড় একটা অংশের বিরুদ্ধে আমাদের কাজ করতে হয়। সভায় সাংবাদিকরা চার্জশিটভুক্ত আসামিদের পদোন্নতি পাওয়া, বড় দুর্নীতি তদন্তে দুদকের অনীহা এবং দুদকের প্রতি জনগণের প্রত্যাশার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এছাড়া আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে দুর্নীতিবাজদের যেন মনোনয়ন না দেয়া হয়, এ ব্যাপারে দলগুলোর প্রতি কোনো বার্তা দেয়া হবে কিনা জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের প্রত্যাশাপূরণে কতটুকু কাজ করেছি আপনারা আরও ভালো বলতে পারবেন। জনগণ প্রত্যাশা করলেই হবে না, সহায়তাও করতে হবে। অনেকে অভিযোগ করলেও সাক্ষী হতে চায় না। আবার অনেকে সুর্নিদিষ্ট অভিযোগও দিতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, চার্জশিটভুক্ত আসামি পদোন্নতি পেলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়। আমরা প্রতিটি চার্জশিটের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদে চিঠি দিয়ে থাকি। দুদক বড় মামলা তদন্তে আগ্রহী নয় এমন অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, দুদক বড় মামলা ধরে না তা আংশিক সত্য।
দুদকের কমিশনার মো. আছিয়া খাতুন বলেন, দুর্নীতি একটি ধ্বংসকারী শক্তি। যা সমাজের বিভিন্ন ভিত্তি, সংস্কৃতি, শিক্ষা, নীতিগুলোকে ধ্বংস করে ফেলে। আমাদের নৈতিকতাকে দুর্বল করে দেয়। তাই গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দুর্নীতিবাজদের প্রকাশ্যে আনার কাজটাই আমরা করে থাকি।
দুদকের কমিশনার মো জহুরুল হক বলেন, দুদকের কাজ হলো দুর্নীতি দমন নিয়ে যেসব আইনপ্রণয়ন করা হয়, তা প্রতিপালন করা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। নির্বাচন নিয়ে দুদকের কোনো মন্তব্য নেই।