শেয়ার বিজ ডেস্ক: আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সব সংশয় আর অনিশ্চয়তার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘একটা কথাই বলতে পারি, নির্বাচন হবে এবং সময়মতোই হবে।’
ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এক প্রশ্নের উত্তরে তার এ বক্তব্য আসে। সূত্র: বাসস।
গত কিছুদিনে প্রধানমন্ত্রীর কিছু বক্তব্য থেকে উদ্ধৃত করে তার কাছে একজন সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিলÑকোন বিদেশি শক্তি চোখ রাঙাচ্ছে? নির্বাচন আদৌ হবে কি না, সময়মতো হবে কি না, আবার জরুরি অবস্থা আসবে কি না, এসব প্রশ্ন রয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। নির্বাচন সময়মতোই হবেÑজানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার উত্তরে বলেন, ‘কে চোখ রাঙালো, আর কে ব্যাকালো, আমরা ওটার পরোয়া করি না। অনেক সংগ্রাম করেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি।’
গণতন্ত্র থাকলে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ থাকলে দেশের উন্নতি হয়Ñমন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নয়ন তো শুধু মেট্রোরেল আর টানেল দিয়ে না, যান না গ্রামে ঘুরে আসুন না। উন্নয়নটা আমি তৃণমূল থেকে করে দিয়েছি।’
কোন বিদেশি শক্তি চোখ রাঙাচ্ছেÑএই প্রশ্ন যিনি রেখেছিলেন, তাকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেন, আপনাকে আমার বলতে হবে কেন? আপনারা বোঝেন না? ডায়লগ করতে হবে! ট্রাম্প সাহেব আর বাইডেন কি ডায়লগ করতেছে? যেদিন ট্রাম্প সাহেব আর বাইডেন ডায়লগ করবে, সেদিন আমি করব।’
তিনি বলেন, বিএনপি–জামায়াত জোট সন্ত্রাসী। বিএনপি সন্ত্রাসী দল, সেটা তারা আবার প্রমাণ করেছে। সন্ত্রাসীদের কীভাবে শিক্ষা দিতে হয়, সেভাবে দিতে হবে।
সাংবাদিকদের প্রতি বিএনপি–জামায়াতের হামলার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২৮ তারিখে ৪০ থেকে ৪৫ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হলো। রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডার, এদের কাছ থেকে আপনারা কি কোনো সিমপ্যাথি পেয়েছেন? তাদের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পেয়েছেন? আজকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো চুপ কেন? তাদের কাছ থেকে প্রতিবাদ শুনি না কেন? তাদের কাছ থেকে কথা শুনি না কেন? আপনারা সেটি জিজ্ঞেস করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি পুলিশ মারল। বাসে আগুন দিল। যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, আজকে তাদের সেই ভাণ্ডার বন্ধ কেন? তারা চুপ কেন?
সাংবাদিকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মাঝখানে কিছুদিন বিএনপি রাজনৈতিকভাবে কর্মসূচি করছিল এবং আপনারা নিশ্চয়ই বিশেষভাবে লক্ষ করেছিলেন আমাদের সরকার কিন্তু তাদের কোনো বাধা দেয়নি। তাদের ওপর একটা শর্ত ছিল, তারা অগ্নিসংযোগ বা ভাঙচুর করবে না।’
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) যখন সুষ্ঠুভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছিল তাতে কিন্তু মানুষের একটু আস্থা–বিশ্বাসও তারা ধীরে ধীরে অর্জন করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৮ তারিখ বিএনপি যেসব ঘটনা ঘটাল, বিশেষ করে যেভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে, মাটিতে ফেলে যেভাবে কোপাল, সাংবাদিকদের যেভাবে পেটাল, এ ঘটনার পর জনগণের ধিক্কার ছাড়া বিএনপির কিছুই জুটবে না।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সংসদ সদস্য ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
