নির্মাণকাজ শুরু আখাউড়া-লাকসাম রেলপথের

প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু হয়েছে। প্রায় আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে গতকাল রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের আওতাধীন কসবা রেলস্টেশন, রেলপথ ও সালদা রেলসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখার ১৫০ গজের ভেতর কাজ হচ্ছে, এমন অজুহাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধার মুখে ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে কসবা রেলস্টেশন ও সালদা রেলসেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা প্রকল্পের নির্মাণকাজ পুনরায় চালু হওয়ায় কসবা সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আখাউড়া রেল জংশন থেকে লাকসাম রেল জংশন পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডাবল লাইনের কাজ চলছে। ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর মধ্যে প্রকল্পের বেশিরভাগ কাজ সম্পন্ন হলেও বিএসএফের বাধার কারণে কসবা রেলস্টেশন, স্টেশনের ডাবল লাইন ও সালদা রেলসেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল।

গতকাল সকালে নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সরাইল রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। এ সময় বিজিবির সুলতানপুর সেক্টর কমান্ডারসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কসবা রেলস্টেশন এলাকায় নির্মাণকাজ পরিদর্শনের সময় শহীদুল ইসলাম বলেন, ৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পটি জাতীয় পর্যায়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। গত বছরের জুলাইয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সীমান্ত সম্মেলনে প্রকল্পটির বন্ধ হয়ে থাকা ওই অংশের নির্মাণকাজ পুনরায় চালুর বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করা হয়। পরে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে প্রকল্পটি চালুর বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ১ মার্চ বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান সরেজমিন আখাউড়া-লাকসাম রেলপথের কসবা রেলস্টেশন এলাকা পরিদর্শন করেন। ওই সময় তিনি প্রকল্পটির বন্ধ থাকা কাজ শিগগির শুরু হবে বলে দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেছিলেন। ফলে দেশের অন্যতম জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন বলেন, ‘পুরো প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শেষ হলে জাতীয় অর্থনীতিতে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ২৩ জোড়া ট্রেন চালু রয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হলে এ পথে ৭২ জোড়া ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০