নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য রড, সিমেন্ট, ইটসহ অন্যান্য নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ায় দেশের আবাসন খাত আবারও বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে মনে আশঙ্কা করছেন আবাসন খাতের শীর্ষ সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব নেতারা বলেন, দীর্ঘদিনের মন্দা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও অস্থির অবস্থার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে নির্মাণশিল্প।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নুরুন্নবী চৌধুরী (শাওন) এমপি। এ সময় রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রথম) লিয়াকত আলী ভূইয়া, রিহ্যাব পরিচালক কামাল মাহমুদ, নাইমুল হাসান, শাকিল কামাল চৌধুরী, ড. প্রকৌশলী মাসুদা সিদ্দিক রোজী, এসএম জাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, নির্মাণ খাতের প্রধান উপকরণ রড ও সিমেন্টের দাম বাড়ছে অস্বাভাবিকভাবে। তিনি বলেন, এক বছর আগে ৬০ গ্রেডের রডের বাজারমূল্য ছিল ৫২ হাজার থেকে ৫৩ হাজার টাকা আর ৪০ গ্রেডের রডের বাজারমূল্য ৪২ হাজার থেকে ৪৩ হাজার টাকা। বর্তমানে সেই রডের বাজারমূল্য যথাক্রমে প্রায় ৬৫ হাজার থেকে ৬৮ হাজার টাকা এবং ৫৩ হাজার থেকে ৫৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ এক বছরে রডের মূল্য বেড়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ। একইভাবে প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা সিমেন্টের মূল্য বৃদ্ধির কথাও বলেন রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট। নির্মাণ উপকরণের এ মূল্য বৃদ্ধি যথাসময়ে ফ্ল্যাট হস্তান্তরকে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলবে, এমন শঙ্কার কথা বলেন আলমগীর শামসুল আলামিন।
সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নুরুন্নবী চৌধুরী বলেন, নির্মাণসামগ্রীর পাশাপাশি ব্যাংকে গৃহঋণের সুদের হার বাড়ায় এখন আবাসন খাত আরও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। এতে আবাসন খাত আবারও গতিহীন অবস্থায় গিয়ে পড়বে বলে মনে করেন তিনি। রড ও সিমেন্টের মূল্য বৃদ্ধি শুধু আবাসন খাতকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, এর সঙ্গে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যয় বৃদ্ধি ও বাধাগ্রস্ত হবে বলেও মনে করেন তিনি। আবাসন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রড, সিমেন্ট, পাথরসহ বিভিন্ন সমিতির সবার সঙ্গে মতবিনিময় করে উদ্ভূত সমস্যার কার্যকর সমাধান বের করার আহ্বান জানান রিহ্যাব সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। সরকারের সহযোগিতা কামনা করে প্রয়োজনে রড-সিমেন্ট তৈরির কাঁচামালের ওপর কর কমিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।