নিজস্ব প্রতিবেদক: সিন্দুক ভেঙে প্রত্যাশিত অর্থ না পাওয়ায় নিলামে তোলা হয়েছে ইভ্যালির সাতটি গাড়ি। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বাড়িতে এসব গাড়ি দেখতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। গতকাল রাজধানী ঢাকার বারিধারার ‘জে’ ব্লকে ১১ নম্বর রোডে নির্মাণাধীন ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গাড়িগুলো দেখার জন্য রাখা হয়েছে।
ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে সেগুলো দেখছেন। বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সাউথ পয়েন্ট স্কুলের সঙ্গে নির্মাণাধীন বাড়িটিতেই আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত নিলাম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিলাম সুবিধা বিবেচনায় ধানমন্ডিতে ইভ্যালির অফিসে তা অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি নিয়ে বাড়িটির সামনে একটি নোটিশও ঝুলানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘নিলাম ডাক-সংশ্লিষ্ট সব লজিস্টিক প্রয়োজনীয়তা এবং সুবিধা বিবেচনায় আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বারিধারায় বিচারপতির বাড়ির পরিবর্তে ধানমন্ডিতে ইভ্যালির অফিসে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।’ তবে ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গাড়িগুলো প্রদর্শনের জন্য তার বাড়িতেই রাখা হচ্ছে।
আগ্রহীরা ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অফিস চলাকালীন ধানমন্ডির ১৪ নম্বর সড়কের ৮ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় অবস্থিত ইভ্যালির প্রধান কার্যালয় থেকে ৫ হাজার টাকা (৪৫০০ টাকা ফেরতযোগ্য) পরিশোধ করে নিলাম কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
এর আগে ইভ্যালির সিন্দুক ভেঙে প্রত্যাশিত অর্থ না পাওয়ায় পর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ইভ্যালির সাতটি গাড়ি নিলামে তোলা হয়। গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে দু’টি জাতীয় দৈনিকে এ নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
নিলামের তালিকায় রয়েছে- একটি রেঞ্জ রোভার, একটি টয়োটা প্রায়াস, একটি টয়োটা সিএইচআর, দু’টি টয়োটা এক্সিও, একটি হোন্ডা ভেজেল ও একটি টয়োটা মাইক্রোবাস। এসব গাড়ির মোট ন্যূনতম মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
এর মধ্যে ২০২০ সালের রেজিস্ট্রেশনের রেঞ্জ রোভারের ন্যূনতম নিলাম মূল্য এক কোটি ৬০ লাখ টাকা, ২০২১ সালের রেজিস্ট্রেশনের টয়োটা প্রায়াসের ন্যূনতম দর ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০২০ সালের রেজিস্ট্রেশনের টয়োটা সিএইচআর দর ১৮ লাখ, ২০২১ সালের রেজিস্ট্রেশনের টয়োটা এক্সিওর দর ৯ লাখ ১৮ হাজার, ২০২১ সালের রেজিস্ট্রেশনের হোন্ডা ভেজেলের দর ১৬ লাখ ও ২০২০ সালের রেজিস্ট্রেশনের টয়োটা মাইক্রোবাসের ন্যূনতম দর ১২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এখন কারাগারে আছেন।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির কাছে পণ্য সরবরাহকারী ও কয়েক লাখ ক্রেতার পাওনা রয়েছে পাঁচশ কোটি টাকারও বেশি। এই পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশে গাঠিত একটি পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটির ন্যায্য অবসায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
