নিশ্চিত করতে হবে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার

মো. আরাফাত রহমান: প্রতিবন্ধিতা জীববৈচিত্র্যের একটি অংশ। সব প্রতিবন্ধিতা দৃশ্যমান নয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধিতা দীর্ঘস্থায়ীও নয়, বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অস্থায়ী প্রতিবন্ধিতা দেখা যায়। বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে বেশিরভাগই দারিদ্র্যের শিকার, তথা নিন্ম আয়ভুক্ত বলে বিভিন্ন গবেষণায় এতদসংক্রান্ত তথ্য লক্ষ করা যায়। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য নিরসন ও জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ সময়ের দাবি। দারিদ্র্য নিরসন ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন তাদের উপযোগী চিকিৎসা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানে লক্ষ্যভিত্তিক পরিকল্পিত কার্যক্রম গ্রহণ।

প্রতিবন্ধিতার ধরন চিহ্নিতকরণ, মাত্রা নিরূপণ ও কারণ নির্দিষ্ট করে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সঠিক পরিসংখ্যান নির্ণয়ের নিমিত্ত দেশব্যাপী প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। দেশব্যাপী প্রসারের আগে পদ্ধতিগত কার্যকারিতা নির্ভুল করার লক্ষ্যে পাইলটভিত্তিতে এ জরিপ ২০১২ সালের মে মাসে শুরু হয়। ২০১১-১২ অর্থবছরে পাইলটভিত্তিতে গোপালগঞ্জ জেলা ও জামালপুর সদর, বরুড়া (কুমিল্লা), পবা (রাজশাহী), মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট), বরিশাল সদর, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) ও ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) উপজেলাসহ সর্বমোট ১২টি উপজেলায় জরিপ কাজ সম্পন্ন করা হয়। ২০১২-১৩ অর্থবছরে পাইলট ভিত্তিতে জরিপ পরিচালিত হয়। উপজেলা ব্যতীত দেশের অবশিষ্ট এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে জরিপ পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ১ জুন থেকে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয় এবং ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন হয়।

২০১৩-১৪ অর্থবছরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত ডাক্তার এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আওতাধীন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কনসালট্যান্ট কর্তৃক জরিপের আওতাভুক্ত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিবন্ধিতার ধরন ও মাত্রা নিরূপণের কাজ শুরু হয়। বয়স, লিঙ্গ, জাতি, সংস্কৃতি বা সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী আর ১০ জন যে কাজগুলো করতে পারে, ইমপেয়ারমেন্টের কারণে সে কাজগুলো প্রাত্যহিক জীবনে করতে না পারার অবস্থাটাই হলো ডিসঅ্যাবিলিটি বা প্রতিবন্ধিতা। ইমপেয়ারমেন্ট বলতে দেহের কোনো অংশ বা তন্ত্র যদি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে, ক্ষণস্থায়ী বা চিরস্থায়ীভাবে তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায় সে অবস্থাটিকেই বোঝায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অব ইমপেয়ারমেন্ট ডিসঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড হ্যান্ডিক্যাপ (আইসিআইডিএইচ)’ শীর্ষক প্রকাশনায় বিকলাঙ্গতা ও প্রতিবন্ধিতার সমস্যাকে তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে, যথা এক. দুর্বলতা (Impairment), দুই. অক্ষমতা (Disability) এবং তিন. প্রতিবন্ধিতা (Handicap)|

‘বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন, ২০০১’-এ বলা হয়েছে যে, প্রতিবন্ধী অর্থ এমন এক ব্যক্তি যিনি জন্ম গতভাবে বা রোগাক্রান্ত হয়ে বা দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বা অপচিকিৎসায় বা অন্য কোনো কারণে দৈহিকভাবে বিকলাঙ্গ বা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন এবং ওইরূপ বৈকল্য বা ভারসাম্যহীনতার ফলে স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম।

প্রতিবন্ধিতার প্রকারভেদ বিভিন্ন ভিত্তিতে করা হয়ে থাকে। যেমন, কখন শুরু হয়েছে, তার ভিত্তিতেÑএক. প্রাথমিক প্রতিবন্ধিতা: বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধিতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করলে তাকে প্রাথমিক প্রতিবন্ধিতা বলা হয়। দুই. পরবর্তী বা অর্জিত প্রতিবন্ধিতা: জন্মের পর বিভিন্ন কারণে প্রতিবন্ধিতা বরণ করে থাকলে তাকে পরবর্তী বা অর্জিত প্রতিবন্ধিতা বলা হয়। কোনো অঙ্গ আক্রান্ত হয়েছে, তার ভিত্তিতে এক. শারীরিক প্রতিবন্ধী; দুই. দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, তিন. শ্রবণ প্রতিবন্ধী; চার. বাক প্রতিবন্ধী; পাঁচ. বুদ্ধি প্রতিবন্ধী; ছয়. বহুবিধ প্রতিবন্ধী। মাত্রা অনুযায়ী এক. মৃদু; দুই. মাঝারি; তিন. তীব্র ও চার. চরম।

বেশিরভাগ প্রতিবন্ধিতার কারণ জানা যায় না। কিন্তু যেগুলো সম্পর্কে জানা যায়, তা কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়, যা নিচে উল্লেখ করা হলো

সাধারণ কারণ: ক. বংশানুক্রমিক খ. রক্তের সম্পর্ক রয়েছে এমন কোনো কোনো আত্মীয়ের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক গ. দুর্ঘটনা ঘ. উচ্চ মাত্রার জ্বর ঙ. বিষক্রিয়া চ. মস্তিষ্কের কিছু ইনফেকশন বা অসুখ বা টিউমার ছ. পুষ্টি, ভিটামিন, আয়োডিন ইত্যাদির অভাব।

জন্ম-সম্পর্কিত কারণ: জন্মের আগে ক. মায়ের বয়স যদি ১৬ বছরের নিচে অথবা ৩০ বছরের ওপরে হয়। খ. গর্ভাবস্থায় মায়ের পুষ্টির অভাব। গ. গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের মধ্যে যদি মা কোনো রকম কড়া ওষুধ গ্রহণ করে থাকে, অথবা কীটনাশক, রাসায়নিক, রশ্মি, বিষক্রিয়া গ্রহণ করে থাকে। ঘ. গর্ভাবস্থায় যদি মায়ের বিশেষ হাম হয়। এটি সাধারণত প্রভাব বিস্তার করে থাকে ইন্দ্রিয়স্থান (শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে), মস্তিষ্কের সেরেব্রাল পালসি অথবা মানসিক প্রতিবন্ধিতা অথবা শরীরের অভ্যন্তরের বাহুতেও প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ঙ. গর্ভধারণকারী মায়ের যদি হƒদযন্ত্রসংক্রান্ত জটিলতা বা ডায়াবেটিস থাকে। চ. গর্ভধারণকারী মায়ের যদি বিভিন্ন অভ্যাস থাকে, যেমন মদপান, ধূমপান, তামাক ব্যবহার প্রভৃতি।

জন্মের সময়: ক. অপরিপক্বতা। খ. প্রসবের সময় অব্যবস্থাপনা (সাধারণত অপ্রশিক্ষিত কোনো কর্মী দ্বারা)। গ. প্রসবের সময় সঠিকভাবে যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করা হলে। গ. মাথায় আঘাত। ঘ. প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাব।

জন্মের পর: ক. মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে। খ. প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাব। গ. দুর্ঘটনা। ঘ. উচ্চমাত্রার জ্বর। ঙ. বিষক্রিয়া। চ. মস্তিষ্কের কিছু ইনফেকশন, রোগ ও টিউমার।

সাধারণত এসব কারণে প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়ে হয়ে থাকে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে দেশে প্রতিবন্ধীর মোট সংখ্যা ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮ জন। এর মধ্যে রয়েছে পুরুষ ১২ লাখ পাঁচ হাজার ৮০৯, মহিলা সাত লাখ ৫৬ হাজার ৭৩২ জন এবং হিজড়া দুই হাজার ৫৪৭ জন।

মানসিক প্রতিবন্ধিতা শিশুর বিকাশকালে তার শারীরিক, সামাজিক ও ভাষা আয়ত্তের অপারগতাজনিত অবস্থা। প্রাথমিক অবস্থায় গৌণ প্রতীয়মান হলেও সাধারণত তিন বছর বয়সের আগেই তা প্রকাশ পেয়ে থাকে এবং প্রতিবন্ধী ছেলেদের সংখ্যা মেয়েদের চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি হয়ে থাকে। তাদের কথা শিখতে দেরি হয় এবং আদর-যতেœর প্রতি তারা আগ্রহ না দেখিয়ে উদাসীন হয়। তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু ধীরে ধীরে তাদের মা-বাবা বা বিশেষ কোনো ব্যক্তির প্রতি আকর্ষণ দেখায়। অনেকে কোনো অর্থহীন বা অন্যের উচ্চারিত কোনো শব্দ বারবার উচ্চারণ করে। কেউ কেউ কোনো বিশেষ শব্দের প্রতি ভীত হয়। ব্যথায় ও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে এদের মধ্যে স্বাভাবিক সাড়ার অনুপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়, যদিও তাদের মধ্যে ভাবাবেগের কোনো অভাব দেখা যায় না।

দেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বিনা মূল্যে ফিজিওথেরাপি ও অন্যান্য চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের আমলে ২০০৯-১০ অর্থবছরে অর্থ বিভাগের ধারণাপত্রের ভিত্তিতে প্রথমবারের মতো দেশের পাঁচটি জেলায় প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র চালু করা হয়। ২০১০ সালের ২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র শীর্ষক কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের সেবা কার্যক্রম বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হওয়ায় ২০১০-১১ অর্থবছরে আগের পাঁচটি কেন্দ্রের কার্যক্রম নবায়ন করে আরও ১০টি, ২০১১-১২ অর্থবছরে পূর্ববর্তী বছরগুলোর ১৫টি কেন্দ্রের কার্যক্রম নবায়ন করে আরও ১০টি এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরের পূর্ববর্তী বছরগুলোর ৩৫টি কেন্দ্র নবায়নসহ আরও ৩৩টি জেলায় প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের ৬৪টি জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র চালু রয়েছে। এ পর্যন্ত নিবন্ধিত সেবাগ্রহীতার সংখ্যা ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪ জন এবং সেবার সংখ্যা ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার চারটি। তাছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে একটি করে অটিজম কর্নার চালু করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় পর্যায়ক্রমে একটি করে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র চালু করা হবে।

২০০৯-১০ অর্থবছরে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফাউন্ডেশনের নিজস্ব ক্যাম্পাসে অটিজম রিসোর্স সেন্টার চালু করা হয়। ওই কেন্দ্র থেকে নিন্মোক্ত সেবাগুলো প্রদান করা হয় ক. শনাক্তকরণ; খ. অ্যাসেসমেন্ট; গ. অকুপেশনাল থেরাপি; ঘ. স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপি; ঙ. ফিজিওথেরাপি; চ. কাউন্সেলিং; ছ. রিসোর্স বেইজড সেমিনার; জ. টেলি থেরাপি; ঝ. গ্রুপ থেরাপি; ঞ. দৈনন্দিন কার্যবিধি প্রশিক্ষণসহ রেফারেল সেবা এবং ট. অটিস্টিক শিশুদের বাবা-মায়েদের কাউন্সেলিং সেবা। ওই সেন্টার থেকে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৮৭৭ জন বিভিন্ন বয়সের অটিজম-আক্রান্ত শিশু/ব্যক্তিকে বিনা মূল্যে সেবা দেওয়া হয়েছে এবং তা অব্যাহত আছে। এ কেন্দ্র থেকে ওই সব ইন্টারভেনশন সুবিধাও প্রদান করা হচ্ছে।

অটিজমসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধিতার বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রশিক্ষণে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি তাদের বাবা-মা ও অভিভাবককেও সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধিতা-বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ৪৭২ অভিভাবক/বাবা-মা, অটিস্টিক শিশুসহ তিন হাজার বিভিন্ন ক্যাটেগরির প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া জনবলকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

Early Screening, Detection, Assessment I Early Intervention নিশ্চিত করার জন্য ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে একটি করে অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা শহরের মিরপুর, লালবাগ, উত্তরা ও যাত্রাবাড়ীতে একটি করে, ছয়টি বিভাগীয় শহরে ছয়টি (রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, রংপুর ও সিলেট) এবং গাইবান্ধায় একটিসহ মোট ১১টি স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ অটিজম চালু করা হয়েছে। এ স্কুল থেকে ১৪৭ অটিস্টিক শিশু বিনা বেতনে প্রি-স্কুলিংয়ের সুযোগ পাচ্ছে।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আওতায় রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় বিশেষ শিক্ষা কেন্দ্র নামে একটি কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল সৃষ্টি, বিশেষ শিক্ষা উপকরণ তৈরি ও বিতরণসহ সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন করে তোলাই এ কেন্দ্রের মূল উদ্দেশ্য। এ কেন্দ্রে রয়েছে বিশেষ শিক্ষা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, হোস্টেল ও রিসোর্স সেকশন। মানসিক, শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের জন্য তিনটি পৃথক স্কুলসহ রয়েছে তিনটি হোস্টেল। বিশেষ শিক্ষা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে বিএসএড (ব্যাচেলর অব স্পেশাল এডুকেশন) কোর্স চালু রয়েছে।

ফ্রিল্যান্স লেখক

arafat.bcpr@seu.edu.bd

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০