নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরও বিক্রি করছে মদ। তাও আবার হোম ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে। মদ বিক্রি করলেও ভ্যাট রিটার্নে (দাখিলপত্র) শূন্য বিক্রি দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজস্ব ফাঁকি। রাজধানীর মগবাজার এলাকার পিয়াসি রেস্টুরেন্ট ও বারের অবৈধভাবে মদ বিক্রি ও ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটন করেছে মূসক নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বারে অভিযানের সময় অবৈধ মদও আটক করা হয়েছে। সম্প্রতি ভ্যাট গোয়েন্দা এ বারে অভিযান পরিচালনা করে। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, করোনাভাইরাসের কারণে রেস্টুরেন্ট বারে মদ জাতীয় দ্রব্য বিক্রিতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ভ্যাট গোয়েন্দা অফিসের মাত্র ২০০ মিটার দূরে পিয়াসি রেস্টুরেন্ট ও বার (১১৪ শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সড়ক, মগবাজার) অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মদ বিক্রি ও ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ভ্যাট গোয়েন্দার উপপরিচালক তানভীর আহমেদ এর নেতৃত্বে একটি দল অভিযান পরিচালনা করেন।

মহাপরিচালক জানান, অভিযানে দলটি রেস্টুরেন্ট বারে সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হোম ডেলিভারির মাধ্যমে মদ বিক্রি করার প্রমাণ পায়। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব ফাঁকি দিতে জুলাই হতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাসিক ভ্যাট রিটার্নে শূন্য বিক্রি দেখিয়েছে। অভিযানে ভ্যাট গোয়েন্দা দল পিয়াসি রেস্টুরেন্ট ও বারের স্টকে ১৪১৫ লিটার দেশি ও বিদেশি মদ পান। কিন্তু মাদকের লাইসেন্স অনুসারে তাদের মজুদ থাকার কথা ১৯২৭ লিটার।

প্রতিষ্ঠানটি বার থেকে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে প্রায় ৬৫০ বোতল মদ ও মাদকদ্রব্য অবৈধভাবে বিক্রি করেছে মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মিলেছে। কোন মদের বার ও রেস্টুরেন্টে যে কোন পণ্য বিক্রিতে সরকারের ১৫% ভ্যাট ও ২০% সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য। প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট রিটার্নে শূন্য বিক্রি দেখানোর ফলে প্রায় ১০ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে সরকার বঞ্চিত হয়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দার দল প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃক অনুমোদিত মদের বাইরে কোন মদ জাতীয় দ্রব্য বিক্রির সাথে জড়িত কিনা কি না তা খতিয়ে দেখছে। একইসঙ্গে ভ্যাট গোয়েন্দা অবৈধভাবে মদ বিক্রির দায়ে ভ্যাট আইন ও অন্যান্য আইনে পিয়াসি রেস্টুরেন্ট ও বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
###