শেয়ার বিজ ডেস্ক: টিকটক ও এর মূল চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে তাদের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা ও এ-সংক্রান্ত আইন প্রত্যাহারের আবেদন করেছে। তারা বলেছে, এ আইনটি প্রয়োগের ফলে জনপ্রিয় ভিডিও অ্যাপটির ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে। খবর: রয়টার্স।
২০২২ সালের পরে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সমঝোতায় আসার জন্য কোনো আলোচনায় বসেনি বলেও অভিযোগ করেছে টিকটক।
টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আনা প্রস্তাবিত একটি বিলে স্বাক্ষর করে সেটিকে গত এপ্রিলে আইনে পরিণত করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আইন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্যবসা ও সম্পদ গুটিয়ে না নিলে নিষেধাজ্ঞায় পড়বে টিকটক। বাইটড্যান্স বলেছে, প্রযুক্তিগতভাবে, বাণিজ্যিকভাবে বা আইনগতভাবে এই নির্দেশনা মানা সম্ভব নয়।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের প্রায় ১৭০ মিলিয়ন বা ১৭ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে।
আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি টিকটক ও বাইটড্যান্সের করা একটি মামলার শুনানি করবে ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার ইউএস কোর্ট অব আপিলস। এ মামলার ফলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ভবিষ্যৎ অনেকটা নির্ভর করছে।
আইনটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বাইটড্যান্স ও টিকটক বলেছে, আইনটি জনগণের জন্য অবাধ ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেয়ার অবস্থান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সরে আসার স্পষ্ট ইঙ্গিত এবং মত প্রকাশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে তাদের ব্যবসা বিক্রি বা বন্ধ করার অনুমতি দেয়ার মাধ্যমে এটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।
অ্যাপটির মাধ্যমে চীন তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে বা তাদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারেÑএমন দাবি করে কংগ্রেসে একটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা। এর কিছুদিন পর এটি আইন হিসেবে কংগ্রেসে গৃহীত হয়।
আইনটির বিরুদ্ধে মামলা করা কয়েকজন টিকটক ব্যবহারকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, এই আইনটি জনগণের স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করে। মামলার একটি নথিতে তারা উল্লেখ করেছেন, বছরের বাকি সময়ে ও বিশেষ করে নির্বাচনের সময়ে সরকার অ্যাপটিকে চালু রাখার অনুমতি দেয়ার মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হয়ে যায় যে এর কারণে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকি তৈরি হয় না।