শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার তীব্র নিন্দা করছে জাপান। মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থেকে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে টোকিও। শুধু তা-ই নয়, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা পুতিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা চালিয়ে যাওয়ার দাবিও করেছেন। তবে যুদ্ধে আপত্তি থাকলেও রুশ মাছে জাপানের অরুচি নেই। তাই এবার মৎস্য শিকার-সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করল দুই দেশ। খবর: এপি।
স্যামন ও ট্রাউট শিকার নিয়ে রাশিয়া ও জাপানের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল জাপানের মৎস্য দপ্তর জানায়, রাশিয়ার নদীতে জন্মানো এ দুই ধরনের মাছ শিকারের বরাদ্দ নিয়ে চুক্তি হয়েছে। ফলে নিজের ‘এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন’ বা ‘স্বতন্ত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে’ রাশিয়ায় জন্মানো দুই হাজার ৫০ টন স্যামন ও ট্রাউট শিকার করতে পারবেন জাপানি মৎস্যজীবীরা।
এজন্য রাশিয়াকে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ইয়েন (১৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার) দেবে জাপান।
গত বছরও মস্কো ও টোকিওর মধ্যে এ চুক্তি হয়েছিল। তবে চলতি বছর ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ে যায়। এ কারণে জাপানের মৎস্যজীবীরা কিছুটা আশঙ্কায় ভুগছিলেন। কেননা যুদ্ধের কারণে দুই দেশের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত কিছু প্রকল্পের কাজ থেমে গেছে। রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানিতেও রাশ টেনেছে টোকিও। সবমিলিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এমন পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে জব্দ করতে রাশিয়ার ওপর একগুচ্ছ আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ একাধিক দেশ। রাশিয়া
থেকে তেল আমদানি করাও বন্ধ করে দিয়েছে জাপান। শুধু তা-ই নয়, রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংককে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের ‘সুইফট’ ব্যবস্থা থেকে বাদ দেয়া হয়। ফলে ওই ব্যাংকগুলো গোটা বিশ্বে আর কাজ করতে পারছে না। ধাক্কা খাচ্ছে রাশিয়ার আমদানি-রপ্তানি।