শেয়ার বিজ ডেস্ক: পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা অব্যাহত রাখায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা সত্ত্বেও ২০১৭ সালে চীন থেকে ৬৪ কোটি ডলারের বিলাসবহুল পণ্য আমদানি করেছে উত্তর কোরিয়া। গত সোমবার উত্তর কোরিয়ার বিরোধী আইনপ্রণেতা ইউন সাং-হিউন এ তথ্য জানান। খবর: রয়াটার্স।
ইউন সাং-হিউন এক বিবৃতিতে বলেন, চীন থেকে গত বছর নৌবিমান, উচ্চমানের বাদ্যযন্ত্র, উচ্চ মানের টিভিসহ নিউক্লিয়ার বোমা তৈরির সরঞ্জাম প্রচুর পরিমাণে ক্রয় করেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জন উন।
ইউন বক্তব্য অনুযায়ী, গত বছর উত্তর কোরিয়া চীনের বিলাসবহুল পণ্য কিনতে কমপক্ষে ৬৪ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। শুধু বিলাসবহুল পণ্যগুলোতে আমদানি খরচ হবে মোট আমদানি খরচের ১৭ দশমিক আট শতাংশ।
২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর উত্তর কোরিয়া তার সর্বশেষ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। পিয়ংইয়ং-এর দাবি, এ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যে কোনো স্থানে আঘাত হানা সম্ভব। সর্বশেষ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানোর পর দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষএ নিষেধাজ্ঞায় দেশটির তেল সরবরাহ ৯০ শতাংশ কমানোর কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, পিয়ংইয়ংয়ের অন্যতম প্রধান ব্যবসায়িক অংশীদার চীন ও রাশিয়া। দেশটি সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে চীনের কাছ থেকে।
নিষেধাজ্ঞার ফলে পিয়ংইয়ং বছরে মাত্র পাঁচ লাখ ব্যারেল পরিশোধিত জ্বালানি আমদানি করতে পারবে। অপরিশোধিত তেল রফতানির ওপরও সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়। দেশটি বছরে সর্বোচ্চ ৪০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রফতানি করতে পারবে। বৈদ্যুতিক সামগ্রী রফতানি নিষিদ্ধ করা হয়। উত্তর কোরিয়ার বেশকিছু পণ্য রফতানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।