শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনে হামলা করার পর রাশিয়ার জ্বালানি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’, ‘কসাই’ প্রভৃতি উপাধি দেন। অথচ রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর: গ্লোবাল টাইমস।
রাশিয়ার সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি সেক্রেটারি মিখাইল পোপোভের বরাত দিয়ে রাশিয়ার গণমাধ্যমগুলো জানায়, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া থেকে ৪৩ শতাংশ অপরিশোধিত তেল আমদানি বাড়িয়েছে। এ হিসেবে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ ব্যারেল তেল নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপকেও ওয়াশিংটনের মতো একই পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আহ্বান জানানোর প্রসঙ্গ টেনে পোপোভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে এমন চমক দেবে, সেটা ইউরোপের আগেই বোঝা উচিত ছিল।
ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর রাশিয়ার ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। দেশটির জ্বালানি তেলে নিষেধাজ্ঞার কথাও ভাবে পশ্চিমা দেশগুলো। এরপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিলেও রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতার কারণে ইউরোপের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি। এরপর জ্বালানি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা না দিলেও যুক্তরাজ্য ঘোষণা দেয়, চলতি বছর শেষের দিকে ধাপে ধাপে রাশিয়ার তেল আমদানি থেকে সরে আসবে তারা। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইউরোপের দেশগুলোকে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধের জন্য চাপ দিতে থাকে। রাশিয়ার জ্বালানি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাইডেন একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন।
ইস্ট চায়না নরমাল ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর রাশিয়ান স্টাডিজের অ্যাসিস্ট্যান্ট রিসার্চ ফেলো চুই হেং বলেন, এটাই যুক্তরাষ্ট্রের নীতিÑআদর্শগতভাবে ইউরোপকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে এখন কম দামে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করে আবার চড়া দামে ইউরোপে বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র।