নিজস্ব প্রতিবেদক: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার অংশ হিসেবে এবার নীতি সুদহার হিসেবে পরিচিত রেপো সুদহার আরেক দফায় ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মনিটারি পলিসির কমিটির সভায় গতকাল রোববার ওভারনাইট রেপো সুদহার শতকরা ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করা হলো। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে এটি কার্যকর করা হবে।
এ বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। সরকারি ছুটি থাকায় আজ ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এর আগে চলতি বছর মে মাসে সংকোচনমূলক মুদ্র্রানীতির অংশ হিসেবে এক দিন মেয়াদি রেপোর সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে সাড়ে ৮ শতাংশ করা হয়। তাতে তিন মাসের ব্যবধান ফের বাড়ল নীতি সুদহার। নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই প্রথম নীতি সুদহার বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে চলতি বছর জুলাইয়ে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে আহসান এইচ মনসুর পরামর্শ দিয়েছিলেন, নীতি সুদহার বাড়ানো উচিত। কিন্তু সে সময় সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রাখেন।
গত সপ্তাহে সময় গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতি সুদহার বাড়ানো হবে।’ ফলে তারল্যে সংকটে পড়া কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে টাকা ধার করবে, সেটির সুদহার বাড়বে। অর্থাৎ সংকোচনমূলক মুদ্রা সরবরাহে আরও চাপ বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক। আর রিভার্স রেপোর মাধ্যমে বাংকগুলো তাদের উদ্বৃত্ত অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখে বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলে বাজার থেকে অতিরিক্ত তারল্য তুলে নিতে পারে।
ব্যাংকাররা বলছেন, এতে বাড়বে ব্যাংকঋণের সুদহার। বাড়বে কলমানির সুদহারও।
তাছাড়া স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটির (এসএলএফ) ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুদহার ১০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং নীতি করিডোরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) শতকরা ৭ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে।