মাছ-দুধে ফরমালিন, সবজি-ফলে কীটনাশক ও ফরমালিন, মুড়িতে ইউরিয়ার সঙ্গে হাইড্রোজ, জুস-বিস্কুট-আইসক্রিম-সেমাই-মিষ্টিতে টেক্সটাইল ও লেদারের রঙ, জিলাপি-চানাচুরে মবিল, লবণে সাদা বালু, চায়ে করাতকলের গুঁড়ো, মসলায় কাঠ, বালি, ভুসি, ইটের গুঁড়ো, বিষাক্ত রঙ প্রভৃতি নিয়েই আমরা আছি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বর্তমানে ফরমালিনের দৌরাত্ম্যই এগিয়ে।
ফরমালিনের কারণে খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের শরীর পায় বিষ। যার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পেটের পীড়া, হাঁচি-কাশি, বদহজম, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের চর্মরোগ হতে পারে। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে আমাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। ফরমালিন মেশানো খাদ্যপণ্যকে তাই নীরব মানব হত্যাকারী দ্রব্য বলে অভিহিত করা হয়।
জীবন বাঁচাতে মাছ, সবজি ও ফলমূলকে ফরমালিনমুক্ত করতে সহজ কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে:
প্রথমেই খাবারের বেলায় সচেতন হতে হবে
সব ধরনের খাবারের বেলায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে
ফল ও সবজি ১০ মিনিট ধরে লবণ মেশানো উষ্ণ গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। অথবা এক ঘণ্টা বা তার অধিক সময় নিয়ে ফলগুলো পানিতে চুবিয়ে রাখুন
মাছ এক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এ সময়ের মধ্যে মাছে দেওয়া ফরমালিনের মাত্রা ৬১ ভাগ কমে যাবে। আর লবণ পানি ব্যবহার করলে মাছ ৯০ ভাগ ফরমালিনমুক্ত হয়
চাল ধোয়া পানি মাছকে ফরমালিনমুক্ত করতে খুবই কার্যকর। এজন্য প্রথমে চাল ধোয়া পানি দিয়ে মাছ ধুয়ে নিন। এরপর সাধারণ পানিতে মাছ পরিষ্কার করুন। এ পদ্ধতিতে মাছের ৭০ ভাগ ফরমালিন দূর হয়।
মাছের জন্য উপরের পদ্ধতিগুলো
একটু সময়সাপেক্ষ। সময় বাঁচাতে ও শতভাগ ফরমালিনমুক্ত হওয়ার জন্য ভিনেগার ও পানির মিশ্রণে মাছ ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
আগুনের তাপে ফরমালিন অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং রান্নার আগে ফরমালিন কমানোর উপরোক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে রান্না করুন। কেউ যেন চাইলেই ফরমালিন কিনতে না পারে, সরকারকে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
Add Comment