শোবিজ ডেস্ক: শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘নীলপরি নীলাঞ্জনা’ টেলিফিল্মটির জনপ্রিয়তার কথা কারো অজানা নয়। অভিনয়শিল্পী জাকিয়া বারী মম ও তাহসান খানকে নিয়ে টেলিফিল্মটি নির্মাণ করেছিলেন তিনি। ২০১৩ সালের ঈদুল ফিতরে টেলিফিল্মটি এনটিভিতে প্রচার হয়।
চার বছর পরও এ টেলিফিল্মের সাড়া নিয়মিত পান বলে জানান শিহাব শাহীন। তাহসান ও মম জুটিকে নিয়ে এ ঈদুল ফিতরের জন্য নতুন একটি টেলিফিল্ম নির্মাণ করেছেন তিনি। নাম ‘ম্যানিকুইন মুমু’।
টেলিফিল্মটি আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে এনটিভিতে প্রচার হবে।
‘নীলপরি নীলাঞ্জনা’ ও ‘ম্যানিকুইন মুমু’ টেলিফিল্মের গল্পে পার্থক্য কতখানি জানতে চাইলে শিহাব শাহীন বলেন, ‘নীলপরি নীলঞ্জনায় মম ও তাহসানের প্রেম শুরুর একটা মিষ্টি গল্প ছিল আর ম্যানিকুইন মুমুতে তাদের বিবাহিত জীবনের গল্প দেখানো হয়েছে। তাহসান ও মমর সুঅভিনয়ের কারণে নীলপরি নীলাঞ্জনা যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছে তেমনি ম্যানিকুইন মুমু দর্শকদের ভালো লাগবে বলেই আমি আশা করছি। দুটো টেলিফিল্মের গল্পই রোমান্টিক।’
ম্যানিকুইন মুমু টেলিফিল্মে মুমু চরিত্রে মম ও সজল চরিত্রে তাহসান অভিনয় করেছেন।
টেলিফিল্মের গল্পে দেখা যাবে, মুমু আর সজলের প্রথম দেখা হয় ঢাকার বাইরে একটা রিসোর্টে বেড়াতে গিয়ে। মুমু গিয়েছিল তার ডিপার্টমেন্টের একটা টিমের সঙ্গে, আর সজল এসেছিল সদ্য যোগ দেওয়া অফিসের কলিগদের সঙ্গে। মাঝরাতে সজলের ক্ষিদে পেলে দেখে সব বন্ধ। আলো-আঁধারি রিসোর্ট ক্যান্টিনের জানালা টপকে একপাশ থেকে ফ্রিজের দরজা খুলতে হ্যান্ডেলে হাত দিতে গিয়ে কারো হাতের ছোঁয়ায় একটি মেয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠে। চমকে ওঠে সজল। আলো জ্বলতেই দেখা যায় মুমুকে। এরপর শুরু হয় মম ও সজলের রোমান্স। তারপর তাদের বিয়েও হয়। এভাবে এগিয়ে যায় টেলিফিল্মের গল্প।
Add Comment