Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 2:45 pm

নীলফামারীতে জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন সমাপ্ত

শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, নীলফামারী : নীলফামারীতে তিন দিনব্যাপী ৩৭তম জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন ও বার্ষিক অধিবেশন জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় নীলফামারী হাই স্কুল মাঠে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে  রবীন্দ্রপদক ও গুণীজন সম্মাননা দেওয়া হয়। পদক ও সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন রাজশাহীর প্রবীণ উচ্চাঙ্গসংগীত শিল্পী মঞ্জুশ্রী রায় ও রংপুরের লোকসংগীত শিল্পী উপেন্দ্রনাথ রায়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি ড. সন্জীদা খাতুন। বক্তৃতা করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল ইসলাম, জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ নীলফামারীর সভাপতি আহসান রহিম মঞ্জিল প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বিশ্বজিৎ ঘোষ প্রবীণ উচ্চাঙ্গসংগীত শিল্পী মঞ্জুশ্রী রায় ও লোকসংগীত শিল্পী উপেন্দ্রনাথ রায়কে উত্তরীয়, মানপত্র, গুণীজন সম্মাননা ও রবীন্দ্র পদক তুলে দেন। পরে প্রদীপ প্রজ্বালন, রবিরশ্মি, আবৃত্তি, নৃত্য এবং সংগীতানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রস্তাব পাঠ করেন জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি লাইসা আহমেদ লিসা। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন জাতীয় মইনুদ্দিন নাজির। শোক প্রস্তাবে দেশের ও আন্তর্জাতিক সংস্কৃতিকর্মী ৯৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পরে তাদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর আগে সকাল ৯টায় স্থানীয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন, ১০টায় আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান এবং শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশের সহস্রাধিক প্রতিনিধি ছাড়াও অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন প্রায় ৪০ হাজার দর্শক। নীলফামারী শহর পরিণত হয়েছিল রবীন্দ্রভক্তদের মিলনমেলায়।

নীলফামারী সম্মেলন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান রহিম মঞ্জিল জানান, সংস্কৃতির পথ শুধু মানুষকে টেনে আনা নয়, নিজেদেরও উত্তরণ ঘটায়। সে টানেই  সারা দেশের শত-সহস্র শিল্পী এসে মিলিত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ৩৭তম বার্ষিক অধিবেশন শুরু হয়েছিল। জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের আয়োজনে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। দেশের ৮৪ রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ এতে অংশগ্রহণ করে।