নদীর পানি এতটাই স্বচ্ছ যে, একেবারে তল দেখা যায় ওপর থেকে। বৃষ্টির দিনে সৌন্দর্য কমে গেলেও বর্ষার শেষে এখানে যাওয়ার আদর্শ সময়। বলা হচ্ছে, নীল জলের নদী ‘লালাখাল’-এর কথা।
লালাখালের নাম খাল হলেও এটি মূলত সারি নদীর অংশ। সিলেট শহর থেকে লালাখালের দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। জৈন্তাপুর উপজেলায় অবস্থিত। ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকেই এর উৎপত্তি। এর পাশে থাকা পাহাড়ে রয়েছে ঘন সবুজ বন, নদী, চা-বাগান ও নানা জাতের বৃক্ষ।
সারি নদীতে অসংখ্য বাঁক। সব বাঁকই দেখার মতো সুন্দর। নদী থেকে দেখা যায়, ঘন বন আর উঁচু পাহাড়। যেন থরে থরে সাজানো গোছানো। রয়েছে চা-বাগান। নদী আর পাহাড়ের মেলবন্ধনে স্রোতস্বিনী উতলা জল নাড়িয়ে দিয়ে যায় মনকে। আর পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা ঝর্ণাধারার ছল ছল শব্দও অন্যতম আকর্ষণ।
সড়কপথ ও নৌপথ দুভাবেই যাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও নৌ ভ্রমণটা বেশি উপভোগ্য বলে এটাকেই বেছে নেন অধিকাংশ পর্যটক। নৌপথে যেতে যেতে যেদিকে চোখ যায়, মুগ্ধতায় নেমে আসে মগ্নতা! নিশ্চিতভাবে কিছুক্ষণের জন্য আপনি কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যেতে চলছেন।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বাস, রেল বা বিমানযোগে প্রথমে সিলেটে যেতে হবে। এরপর সিলেট থেকে যাবেন সারিঘাট। সেখান থেকে নৌকা অথবা স্পিডবোটে চড়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। ভাড়া নেবে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। একটি বোট বা নৌকায় ১০ থেকে ১২ জন অনায়াসে চড়তে পারবেন।