নূরে আলমের জানাজায় আবেগাপ্লুত ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘পুলিশের গুলিতে নিহত’ ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমের জানাজায় উপস্থিত হয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নিহত ছাত্রদল নেতার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী এসে জড়ো হন। সকাল ১১টায় জানাজা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হাসপাতাল থেকে লাশ আনতে দেরি হওয়ায় জানাজা শুরু হয় দুপুর সোয়া ১টায়।

জানাজার আগ মুহূর্তে বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ। এর চেয়ে বড় বেদনার আর কিছুই নেই। আমাদের ছেলে ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমকে গুলি করা হত্যা করেছে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনী। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ভোলা জেলার স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আব্দুর রহিমকে। আর ১৯ জন ঢাকা ও বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে আমাদের শত শত নেতাকর্মীকে গুম করেছে। হাজারো নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ৩৫ লাখেরও বেশি নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছে।

ফখরুল বলেন, তাই আজকে আর কোনো রোদন নয়, কোনো ক্রন্দন নয়, আমাদের জেগে উঠতে হবে। এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হবে। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, গণআন্দোলন সৃষ্টি করে আমাদের সন্তান, ভাই নূরে আলম ও রহিম হত্যার প্রতিশোধ নেব ইনশাল্লাহ। এ সময় ছাত্রদল নেতা সভাপতি নূরে আলমকে হত্যার প্রতিবাদে ৭ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল।

কর্মসূচিগুলো হলো : ৫-৭ আগস্ট ৩ দিন সারা দেশে শোক হিসেবে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন ও দোয়া, ৬ আগস্ট জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে ঢাকায় সমাবেশ, ৭ আগস্ট জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে ঢাকাসহ সারা দেশে সমাবেশ, ৮ আগস্ট জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে ঢাকায় সমাবেশ, ১০ আগস্ট জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে ঢাকায় সমাবেশ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০