Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 4:10 pm

নেগেটিভ ইক্যুইটির বিষয়ে বিএসইসির ব্যাখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেগেটিভ ইক্যুইটি-সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। স্বল্পতম সময়ে নেগেটিভ ইক্যুইটি বা ঋণাত্মক মূলধনের সমস্যা সমাধান হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি। গতকাল বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সেচেঞ্জ (বিএসইসি) পুঁজিবাজারের নেগেটিভ ইক্যুইটি বা ঋণাত্মক মূলধনের সমস্যা সমাধানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে নেগেটিভ ইক্যুইটির অ্যাকাউন্টের সব শেয়ার বিক্রি করে এবং মূল কোম্পানি থেকে তার সাবসিডিয়ারিকে বাড়তি মূলধনের জোগান দিয়ে এ সংকট থেকে বের হয়ে এসেছে। তবে অল্প কিছু প্রতিষ্ঠান এখনও নেগেটিভ ইক্যুইটির সমস্যা হতে বের হতে পারেনি। কমিশন আশা করে স্বল্পতম সময়ে বাকি থাকা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান উল্লিখিত সমস্যার সমাধান করতে পারবে। এতে আরও বলা হয়, নেগেটিভ ইক্যুইটি-সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এর পরিমাণ ও সংখ্যা-সংক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চলতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজ নেগেটিভ ইক্যুইটি শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশ-সংবলিত যে সংবাদ প্রকাশিত হয়, তাতে বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যা পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অন্তরায়।

বিএসইসি পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স ১৯৬৯-এর সেকশন ২০এ-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে স্টক ডিলার হিসাব, স্টক ব্রোকারের মার্জিন হিসাব ও মার্চেন্ট ব্যাংকারের নিজস্ব ও মক্কেলের পোর্টফোলিও পুনর্মূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন-সংক্রান্ত ঐচ্ছিক সুবিধার মেয়াদ সপ্তমবারের মতো ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠনগুলোর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধিত করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।