নেটওয়ার্কের খুঁটিনাটি

 

 

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ল্যান সাধারণত একটি ভবনের কম্পিউটারগুলোর মধ্যকার নেটওয়ার্ক। মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ম্যান হচ্ছে একই শহরে অবস্থিত কয়েকটি ল্যান নিয়ে গড়া নেটওয়ার্ক। আর ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ওয়ানে দূরবর্তী কয়েকটি ল্যান সংযুক্ত থাকে। এতক্ষণ যা পড়লেন, তা হয়তো আমাদের অনেকেরই জানা আছে।

তবে নেটওয়ার্কের ট্রান্সফার গতি নিয়ে খুব বেশি ধারণা হয়তো অনেকেরই নেই। ল্যানের কথাই ধরুণ। এ ধরনের নেটওয়ার্কে তথ্য আদান-প্রদানের গতি ১০০ এমবিপিএস পর্যন্ত হয়ে থাকে। কারণ আমাদের কম্পিউটারে থাকা নেটওয়ার্ক ইন্টারফেসের ধারণক্ষমতা ১০ থেকে ১০০ এমবিপিএস এর মধ্যে। তবে ম্যানের বেলায় এটি ৫০ থেকে ৭৫ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তথ্য

আদান-প্রদানের গতি মূলত প্রতি সেকেন্ডে গিগাবাইট পর্যন্ত হয়। আর ওয়ানের ক্ষেত্রে গতি ৫১২ থেকে ১০২৪ এমবিপিএস।

নেটওয়ার্কে টপোলজির ভূমিকার বিষয়টি অনেকের হয়তো জানা। মূলত নেটওয়ার্ক ডিজাইনের ক্ষেত্রে এটি ভূমিকা রাখে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট, বাস, স্টার, রিং, মেশ, হাইব্রিড, ডেইজি চেইনÑ এ সাত ধরনের হয়ে থাকে টপোলজি।

নেটওয়ার্ক কেবল

এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য পাঠানোর জন্য যে কেবল ব্যবহার করা হয়, তা-ই নেটওয়ার্ক কেবল। নানা ধরনের কেবলের মধ্যে টুইস্টেড পেয়ার কেবল, ফাইবার অপটিক কেবল, প্যাঁচ কেবল, ইন্টারনেট ক্রসওভার কেবল ও কো-এক্সিয়াল কেবলের প্রাধান্য বেশি।

ল্যানের বেলায় কো-এক্সিয়াল কেবল ব্যবহার করা হয়। নানা ধরনের হয়ে থাকে এ কেবল। দাম তুলনামূলক বেশি। তামার তৈরি বলে ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক ইন্টারফেরেন্স বা ইএমআই সমস্যা রয়েছে।

টুইস্টেড পেয়ার কেবল শিল্ডেড ও আনশিল্ডেড এ দুই ধরনের হয়ে থাকে। শিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার কেবলে প্রতিটি টুইস্ট একটি করে শক্ত আচ্ছাদনের ভেতর জোড়া থাকে। ফলে ইলেকট্রিক ইন্টারফিয়ারেন্স অনেক কম থাকে। এ কেবলের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের গতি প্রায় ৫০০ এমবিপিএস হয়ে থাকে।

আনশিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার কেবলে পেয়ারের বাইরে অতিরিক্ত কোনো শিল্ডিং থাকে না। শুধু বাইরে একটি প্লাস্টিকের জ্যাকেট থাকে। এ কেবলের তথ্য আদান-প্রদানের গতি প্রায় ১৬ এমবিপিএস।

 

তানভীর আহমেদ, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০