শেয়ার বিজ ডেস্ক: সাবস্ক্রিপশন ফি এড়াতে বেশিরভাগ গ্রাহক পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও পরিচিতদের মধ্যে শেয়ার (ভাগাভাগি) করেন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের পাসওয়ার্ড। এবার ওই পাসওয়ার্ড শেয়ারিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটছে যুক্তরাজ্য। খবর: বিবিসি।
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ওটিটি প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সের পাসওয়ার্ড শেয়ারিংয়ের দায়ে জড়িত গ্রাহকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের মতো কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
মামলার ভয়ে পাসওয়ার্ড শেয়ারিংয়ের নামে অভিনব প্রতারণা বন্ধ হবে বলে আশাবাদী নেটফ্লিক্সের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
নেটফ্লিক্সের মুনাফা গত কয়েক বছর ধরে নিন্মমুখী। গ্রাহকের সংখ্যা লাগাতার কমে চলেছে।
কী কারণে গ্রাহকের সংখ্যা কমেছে তা খুঁজতে গিয়ে সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা হতবাক। বিশেষ প্রযুক্তির সহায়তায় তারা দেখতে পান, বিশ্বজুড়ে ২২২ মিলিয়ন অর্থাৎ ২২ কোটি দর্শক গ্রাহক হলেও অনুষ্ঠান দেখছেন ৩২ কোটি দর্শক। অর্থাৎ ১০ কোটি দর্শক সাবস্ক্রিপশন না নিয়েই নেটফ্লিক্সের স্ট্রিমিং দেখছেন।
তাই পাসওয়ার্ড শেয়ারিংয়ের ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে অভিযোগ করে যুক্তরাজ্যের ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অফিসের (আইপিও) দ্বারস্থ হয় নেটফ্লিক্সের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সাবস্ক্রিপশনের পাসওয়ার্ড শেয়ারিং কপিরাইট লঙ্ঘনের মতো মারাত্মক অপরাধ বলে তারা দাবি করেন।
তাই কপিরাইট লঙ্ঘনের অপরাধে যেমন সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়, তেমনই পাসওয়ার্ড শেয়ারিংয়ের অপরাধেও অভিযুক্ত গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা উচিত বলে দাবি করেন তারা।
সেই দাবি মেনে নিয়েছে আইপিও অফিস। ইতিমধ্যে সংস্থার পক্ষ থেকে সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সের সাবস্ক্রিপশন পাসওয়ার্ড শেয়ারিংকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
এর আগে গত মার্চে নেটফ্লিক্স জানায়, এক পাসওয়ার্ড অন্যকে দিলে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে। মূলত সংস্থার আয় বৃদ্ধির জন্য এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়। তখন পেরু, চিলি ও কোস্টারিকার গ্রাহকদের ওপর নেটফ্লিক্স প্রাথমিকভাবে এ নিয়ম চালু করে। নতুন নিয়ম কতটা কার্যকর হয়, তা পরীক্ষা করতে এ তিন দেশকে বেছে নেয় সংস্থাটি।