*ইরানকে হুঁশিয়ারি
শেয়ার বিজ ডেস্ক: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত শুক্রবার তিনি ভাষণ দেন। তবে তিনি মঞ্চে ওঠার পরই সেখানে উপস্থিত অনেক রাষ্ট্রপ্রধান এবং তাদের প্রতিনিধিরা বের হয়ে যান। তাকে করতালিতে তাকে স্বাগত জানায় ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল। খবর: আনদোলু এজেন্সি।
প্রথমে তুরস্কের স্থায়ী দূত অধিবেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। এরপর একে একে তার পেছনে অন্যরাও বের হয়ে যেতে থাকেন।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নেতানিয়াহুর ভাষণ প্রত্যাখ্যানে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, নেতানিয়াহু ৪১ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছেন। তার জাতিসংঘে ভাষণ নয় কারাগারে থাকা উচিত। আরব বিশ্বের প্রতিনিধিরাও নেতানিয়াহুর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে গেছেন।সাধারণ পরিষধের সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানে দেখা গেছে, নেতানিয়াহু বক্তব্য শুরু করার পর অধিবেশন কক্ষের বেশিরভাগ আসনই খালি পড়ে রয়েছে। নেতানিয়াহু প্রায় আধা ঘণ্টার মতো কথা বলেন। ওই সময় তিনি হামাস ও হিজবুল্লাহকে নিয়ে আলোচনা করেন। নেতানিয়াহু বলেন, যতদিন পর্যন্ত তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন না করবেন ততদিন যুদ্ধ অব্যাহত রাখবেন।
এছাড়া সেই ভাষণে বিশ্বনেতাদের সামনে ইরানকে রীতিমতো শাসালেন। তার প্রতিবাদ তো দূরে থাক, নেতানিয়াহুর জ্বালাময়ী বক্তব্যকে করতালির মাধ্যমে স্বাগত জানান বিশ্বনেতারা। হুঙ্কার দিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা আমাদের হামলা করলে আমরাও হামলা করব। ইরানের যে কোনো জায়গায় ইসরায়েল আঘাত হানতে সক্ষম। বলি হওয়া তো দূরে থাকা, ইসরায়েল পাল্টা আঘাত করবে। ইসরায়েল জয়ী হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন নেতানিয়াহু।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের দুটি প্রক্সির সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়ে ইসরায়েল। গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ও লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে সমানতালে ইসরায়েল লড়াই করছে।
নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধের মাঝে তিনি জাতিসংঘে আসতে চাননি। কিন্তু ইসরায়েলের সত্য বক্তব্যটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার বাধ্যবাধকতা থেকেই জাতিসংঘে এসেছেন বলে জানান নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইরানের অভিশাপ বা আরব ও ইহুদিদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে ইসরায়েল। এসময় তার হাতে দুটি মানচিত্র ছিল। একটির ওপর লেখা ছিল, অভিশাপ। অপরটির ওপর লেখা ছিল আশীর্বাদ।