Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 12:46 pm

নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে ইসরাইলে ফের বিক্ষোভ

শেয়ার বিজ ডেস্ক:ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ফের বিক্ষোভ করেছেন লাখো ইসরাইলি নাগরিক। নেতানিয়াহুর নতুন সরকারের বিচার বিভাগীয় সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে গত শনিবার এ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে লাখো মানুষ অংশ নেন। খবর: রয়টার্স।

গতকাল রোববার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকার সংস্কারের জন্য সুপ্রিম কোর্টকে লক্ষ্যবস্তু করার পর চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম দিক থেকে প্রতি সপ্তাহের শনিবার বিপুলসংখ্যক ইসরাইলি নাগরিক বিক্ষোভ করে আসছেন। সর্বশেষ গত শনিবারের বিক্ষোভসহ টানা নবম সপ্তাহ লাখো বিক্ষোভকারী ইসরাইলি শহরগুলোর রাস্তায় নামলেন। এদিন রাতে রাজধানী তেল আবিব এবং অন্যান্য স্থানে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়। পরে পুলিশের প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা তেল আবিবে বাধা ভেঙে সামনে এগোনোর চেষ্টা করছেন এবং রাস্তা অবরোধ করে আগুন জ্বালাচ্ছেন। পুলিশ পরে বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া ইতিহাসের শিক্ষক রনেন কোহেন বলেন, আমি শাসকদলের বিপ্লবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে এসেছি, যা ইসরাইলের সরকার আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। আমি আশা করি, বিশাল এ বিক্ষোভ কার্যকর হবে এবং প্রমাণ করবে যে, আমরা হাল ছেড়ে দিই না।

ইসরাইলের বিচার ব্যবস্থা সংশোধন ও সুপ্রিম কোর্টকে দুর্বল করার একটি পরিকল্পনা সম্প্রতি উম্মোচন করেছে ইসরাইলের নতুন সরকার। এসব সংস্কার বাস্তবায়িত হলে ইসরাইলের পার্লামেন্টের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের রায়গুলোকে বাতিল করা সহজ হবে বলে মনে করছেন বিক্ষোভকারীরা।

সমালোচকরা বলছেন, নেতানিয়াহু সরকারের এ সংস্কার পরিকল্পনা ইসরাইলের বিচারিক স্বাধীনতা পঙ্গু করবে, দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করবে, সংখ্যালঘুদের অধিকার নষ্ট করবে এবং সর্বোপরি ইসরাইলের আদালত ব্যবস্থা বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে। এছাড়া নতুন এ সংস্কার পরিকল্পনা ইসরাইলের চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স সিস্টেমকে হুমকিতে ফেলবে বলেও দাবি বিক্ষোভকারীদের। ওই আইন পাস হলে আইনসভা ও নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা সীমিত হবে। একই সঙ্গে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তমূলক ক্ষমতা পাবেন আইন প্রণেতারা।

এদিকে এ আইনের সমর্থকরা বলছেন, সুপ্রিম কোর্টকে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা থেকে লাগাম টানতে হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সমালোচকরা বলছেন, এ পরিকল্পনা আদালতকে দুর্বল করবে, নাগরিক স্বাধীনতাকে বিপন্ন করবে এবং পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পাশাপাশি ইসরাইলি অর্থনীতির ক্ষতি করবে।