শেয়ার বিজ ডেস্ক: নেপালের পার্লামেন্ট প্রথমবারের মতো নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করেছে। আইনটি নিয়ে দুই বছরের বেশি সময় ধরে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ ছিল রাজনৈতিক দলগুলো। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে গত বুধবার আইনটি পাস হয়। খবর: এনডিটিভি।
গত বুধবার পার্লামেন্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাল কৃষ্ণ খান্দ নেপালের প্রথম নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন-২০২২ আইনপ্রণেতাদের সামনে উত্থাপন করেন। তিনি জানান, নেপালের নাগরিকত্ব আইন ২০০৬ সংশোধন করতে এই বিল আনা হয়েছে। এছাড়া সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী নাগরিকত্ব দেয়া এই আইনের লক্ষ্য। ২০২০ সাল থেকে নেপালের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে বিলটি নিয়ে আলোচনা চলছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু ধারা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি ছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিল, বিদেশি নারীদের নেপালের পুরুষরা বিয়ে করলে নিরপেক্ষ নাগরিকত্ব নিয়ে সাত বছর অপেক্ষার বিধান রাখা ছিল, যা নিয়ে আপত্তি ওঠে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মা-বাবা নেপালের নাগরিক হওয়ার পরও হাজার হাজার মানুষ নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তারা নাগরিকত্বের প্রশংসাপত্র কিংবা সনদপত্র পাননি। নাগরিকত্ব সনদের অভাব তাদের শিক্ষা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। তিনি আরও বলেন, আমি নতুন বিল অনুমোদনের জন্য এবং নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আইন বাস্তবায়নের জন্য একটি পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করার জন্য আবেদন করছি।
খান্দের আশা, সংসদের উচ্চ কক্ষ বা জাতীয় পরিষদে নতুন বিলটি এগিয়ে নেয়া হবে এবং ধারাভিত্তিক আলোচনা শুরু হবে। গত সপ্তাহে প্রধান বিরোধী সিপিএন-ইউএমএল আইন প্রণেতারা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার পর নেপাল সরকার প্রতিনিধি পরিষদ থেকে নাগরিকত্ব বিল প্রত্যাহার করে নেয়। ২০১৮ সালে তৎকালীন কেপি শর্মা অলির সরকার পার্লামেন্টের সচিবালয়ে বিলটি তোলেন।