নেপালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন

শেয়ার বিজ ডেস্ক : নেপালে গতকাল রোববার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৭টায় শুরু হয়ে বিকাল ৫টায় শেষ হয় ভোট গ্রহণ। তবে চূড়ান্ত ফলের জন্য অন্তত দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। খবর: নেপাল নিউজ।

নেপালের জনগণ আশা করছে, এ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত নতুন সরকার দেশের চলমান মূল্যস্ফীতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসন করবে। গতকালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন নেপালি কংগ্রেস পার্টি এবং নেপাল কমিউনিস্ট ইউনিফাইড মার্ক্সবাদী লেনিনবাদী (ইউএমএল) পার্টি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।

এ নির্বাচন নিয়ে কোনো আগাম জরিপ পরিচালিত হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতাসীন জোট সরকার আবার ক্ষমতায় আসতে পারে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপালের ২৭৫ সদস্যের পার্লামেন্ট গঠনের জন্য প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছেন। কোনো ধরনের ভয়ভীতি ও বাধা ছাড়াই ভোটারদের গোপনে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার দীনেশ থাপালিয়া বলেন, ভোট দেয়া কেবল তাদের (জনগণের) অধিকার নয়, গোপন ব্যালটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করাও তাদের কর্তব্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। আসুন আমরা ভোটে অংশগ্রহণ করে গণতন্ত্র উদ্যাপন করি। বিশ্লেষকরা বলেছেন, নতুন সরকার অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং উচ্চমূল্য রোধ করার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। নেপালের জিডিপির প্রায় এক-চতুর্থাংশ আসে রেমিট্যান্স থেকে। তবে বিশ্বব্যাপী মন্দার কারণে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

দেশটির অর্থনীতির আরেকটি বড় স্তম্ভ পর্যটন। মহামারি কভিড-১৯-এর আগে জিডিপির চার শতাংশ আসত এ খাত থেকে। কিন্তু মহামারির কারণে পর্যটনশিল্পেও ধস নেমেছে। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে মাত্র ৪ লাখ ৫০ হাজার পর্যটক নেপালে গিয়েছেন, যা ২০১৯ সালের তুলনায় অর্ধেকের কম।

নেপালের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রায় অধরা। দেশটির সঙ্গে বৃহৎ দুই রাষ্ট্র চীন ও ভারতের সীমান্ত রয়েছে। প্রায় ২৩৯ বছরের পুরোনো রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করে ২০০৮ সালে নেপালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পর থেকে ১০টি সরকার নেপালের রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০