নেপালে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের কেউ বেঁচে নেই

শেয়ার বিজ ডেস্ক: নেপালে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ১৬ আরোহীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। বাকি আরোহীরাও বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা তাদের। খবর: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

বেসরকারি এয়ার লাইন তারা এয়ারের ওই উড়োজাহাজে ২২ আরোহী ছিলেন। নেপালের পর্যটন নগরী পোখারা থেকে গত রোববার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সেটি জমসম বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। এরপর মাঝ আকাশে বিমানটির সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আরেকটি খবরে বলা হয়, জমসন বিমানবন্দরে পৌঁছানোর ১৫ মিনিট আগে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়।

এটিসির সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর প্রথমে পাইলটের মোবাইল ফোনের জিপিএস লোকেশন ট্রাক করে উড়োজাহাজের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। কিন্তু প্রতিক‚ল আবহাওয়ার কারণে রাতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত রাখা হয়। গতকাল ভোরে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা দুর্ঘটনাস্থল শনাক্ত করেন এবং সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।

নেপাল-চীন সীমান্তবর্তী মাউন্ট ধুলাগিরি অঞ্চলের মুসতাং জেলায় উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব নেপাল (সিএএএন) জানায়, এখন পর্যন্ত ১৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে কাউকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। অন্যদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। মুসতাংয়ের প্রধান জেলা কর্মকর্তা নেত্রা প্রসাদ শর্মা বলেন, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান কঠিন হয়ে পড়েছে।

ইন্দ সিং নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে উড়োজাহাজটি। তবে এতে আগুন লাগেনি। এর কোনো আরোহী বেঁচে নেই। মৃতদেহগুলো বিকৃত হয়নি। সবার মুখ দেখে চেনা যাচ্ছে। তবে খাদের কিনারে থাকায় সব আরোহীকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি বলে জানান সিং।

ফ্লাইট-ট্রেকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটডেটা২৪ জানায়, ৯এন-এইটি নিবন্ধন নম্বরের ওই উড়োজাহাজ ১৯৭৯ সালের এপ্রিলে প্রথম আকাশে উড়েছিল। উড়োজাহাজটি কানাডার তৈরি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০