শেয়ার বিজ ডেস্ক: নেপালে ৫.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। গতকাল সকাল ৭টা ৫৮ মিনিটের এ ভূমিকম্পের সময় স্থানীয় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ঘরের বাইরে বের হয়ে আসেন। খবর: লাইভ মিন্ট।
ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল নেপালের রাজধানী থেকে ১৪৭ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে। এর গভীরতা ১০ কিলোমিটার। কাঠমান্ডু উপত্যকায় এর কম্পন অনুভূত হয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
কম্পন অনুভূত হয়েছে ভারতের কিছু অংশেও। বিহার রাজ্যের বেশ কয়েকটি শহরে কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পাটনা, মুজাফফপুর, মুঙ্গার, ভাগলপুর ও কাটিহার। শিলিগুড়ি ও উত্তরবঙ্গের পাহাড়সহ সিকিমেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। ভূমিকম্প হওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এখনও ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। গত ২ জুলাইও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে মৃদু কম্পন অনুভূত হয় দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ারসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। তখন কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভুটান। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা কোথাও ছিল ৩.১ ও কোথাও ছিল ৪.১। স্থায়িত্বও খুব বেশিক্ষণ ছিল না। ফলে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে একে টানা বৃষ্টি, তার ওপর রাতদুপুরে ভূমিকম্পের ঘটনায় পাহাড় থেকে সমতলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
গত ২৫ জুলাই নেপালে ৪ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ সময় স্থানীয়রা ঘুম থেকে উঠে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যান। দেশটির ন্যাশনাল ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের মতে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল কাঠমান্ডু থেকে ১০০ কিলোমিটার পূর্বে সিন্ধুপালচক জেলার হেলাম্বু। তখনও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পটি ২০১৫ সালের ভূমিকম্পের একটি আফটার শক ছিল বলে ন্যাশনাল ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র জানায়। রাজধানী কাঠমান্ডু ও পোখারার মাঝখানে লামজুং এলাকায় ছিল ওই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৯।