মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিবাদ
শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের বৈশ্বিক বিপর্যয়ের কারণ দেখিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত প্রথম কোরিয়ান লেখিকা হান কাং। খবর: দ্য কোরিয়া টাইমস।
তার বাবা প্রখ্যাত সাহিত্যিক হান সেউং-ওন দক্ষিণ জোল্লার ঝাংহেওংয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান। তিনি বলেন, হানন কাং আমাকে বলেছেন, যুদ্ধ বাড়ছে এবং প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে, এমন সময়ে আমরা কীভাবে উদযাপন করতে পারি? তিনি এনিয়ে কোনো সংবাদ সম্মেলন করবে না।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পর, হান সিউং-ওন তার মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন এবং সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের জন্য একটি প্রকাশনা সংস্থা নির্বাচন করার পরামর্শ দেন। শুরুতে রাজি হলেও, হান কাং পরে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। তিনি বলেন, তার দৃষ্টিভঙ্গি কোরিয়ায় বসবাসকারী একজন লেখক থেকে বৈশ্বিক লেখকের চেতনায় পরিবর্তিত হয়েছে। তবে আমি কোরিয়ায় বসবাসকারী একজন পুরস্কারজয়ীর বাবা হওয়ার অনুভূতি ঝেড়ে ফেলতে পারিনি, তাই আমি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি।
নোবেল বিজয় উপলক্ষ্যে হান কাং তার বাবাকে সাহিত্য বিদ্যালয়ে কোনো উৎসবের আয়োজন করতেও নিরুৎসাহিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার বাবা বলেন, আমি ভেবেছিলাম স্থানীয় মানুষদের জন্য একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করব। কিন্তু আমার মেয়ে এতে বাদ সাধে। তিনি বলেন, দয়া করে এই দুঃখজনক ঘটনার (দুই যুদ্ধকে ইঙ্গিত) সাক্ষী হয়ে কোনো আনন্দ উৎসব উদ্যাপন করবেন না। সুইডিশ একাডেমি আমাকে এই পুরস্কার দেয়নি আমাদের আনন্দ করার জন্য, বরং আরও সচেতন থাকার জন্য। তার এই কথাগুলো শোনার পর আমি খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম।
বৃহস্পতিবার নোবেল কমিটির সঙ্গে ফোনালাপে পুরস্কারের সংবাদ পেয়ে হান কাং বলেন, তিনি অত্যন্ত বিস্মিত এবং সম্মানিত। কিন্তু এরপর আর কোনো মন্তব্য করেননি। চাংবি পাবলিশার্স— হান কাংয়ের জনপ্রিয় উপন্যাস ‘হিউম্যান অ্যাক্টস’ (২০১৪) এবং ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ (২০০৭) প্রকাশ করেছে এবং মুনহাকডংনে পাবলিশিং— তার কবিতার সংগ্রহ ও উপন্যাস ‘দ্য উইন্ড ইজ ব্লোয়িং’ (২০১০) প্রকাশ করেছে। এ দুটি প্রকাশনাই তাকে প্রেস কনফারেন্স আয়োজনের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত হান কাংয়ের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর আসেনি।
হান কাংয়ের জন্ম ১৯৭০ সালে, দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াংজু শহরে। ৯ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে তিনি সিউলে চলে যান।