প্রতিনিধি, নোয়াখালী: নোয়াখালী সদর উপজেলায় ১০ টাকা মূল্যের সরকারি চাল অবৈধভাবে বিক্রির সময় ছয় বস্তা চাল আটক করেছে জনতা। এসময় চাল বিক্রির মূলহোতা ডিলার মোসলেহ উদ্দিন পালিয়ে গেছে। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ছয় বস্তা চাল আটক করেছে জনতা। ঘটনার পর ডিলার পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার ভোরে আন্ডারচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, চাল বহনকারী রিকশার চালককে আটক করা হলেও ঘটনায় সম্পৃক্ততা না পেয়ে পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ডিলার মোসলেহ উদ্দিনকে ধরা যায়নি। সে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিলারদের মাধ্যমে ১০ টাকা মূল্যে হতদরিদ্রদের মাঝে চাল বিলি করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে (ট্যাগ অফিসার) নির্দিষ্ট স্থানে প্রকাশ্যে এ চাল বিলি করার কথা।

তিনি জানান, আন্ডারচর ইউনিয়নের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলার মোসলেহ উদ্দিন তার অনুকূলে খাদ্য বিভাগ থেকে বরাদ্দকৃত চাল স্থানীয় বাংলা বাজারে বিলি করার কথা। কিন্তু ভোরে তার গুদাম থেকে চাল বের করে রিকশায় অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সময় লোকজন চালগুলো আটকে রাখে।
এ সময় রিকশাচালককে আটক করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়; এছাড়া ডিলার মোসলেহ উদ্দিন পালিয়ে গেছেন বলে ইউএনও জানান। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সালেহ উদ্দিন ও খাদ্য পরিদর্শক আনিসুর রহমানকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সালেহ উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর ডিলার মোসলেহ উদ্দিন পলাতক। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে চালগুলো অনত্র সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
সদর থানার ওসি নবীর হোসেন বলেন, রিকশাচালক রিপনকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
###