নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ এরপর এবার ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ নিয়ম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মহামারির এ সময় মাস্ক না পরলে সরকারি কোনো সংস্থায় সেবা মেলে না। এখন সেবা নিতে কোভিড টিকা গ্রহণও বাধ্যতামূলক হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভাশেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখনও অনেকেই টিকা নেয়নি। অনেকের টিকা নিতে আগ্রহ কম। এ কারণে সভায় ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ নিয়ম চালুরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগে আমাদের স্লোগান ছিলÑনো মাস্ক, নো সার্ভিস। এখন থেকে আমরা বলতে যাচ্ছি, নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস। আজকে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়ে তা বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেব।’
প্রায় ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশে সোমবার পর্যন্ত এক-তৃতীয়াংশ মানুষ কোভিড টিকার অন্তত এক ডোজ নিয়েছেন।
ছয় কোটি ২৩ লাখ ছয় হাজার ১৮ জন কোভিড টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। এর মধ্যে তিন কোটি ৬৬ লাখ ৮২ হাজার ৭৬৬ জন দ্বিতীয় ডোজও নিয়েছেন। শতকরা হিসেবে প্রথম ডোজ নিয়েছেন দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৫ দশমিক ৬২ শতাংশ, আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ দশমিক ৬৯ শতাংশ মানুষ।
এদিকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে ৬০-ঊর্ধ্ব সবাইকে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওমিক্রন রোধে করণীয় নির্ধারণী সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি ১৮ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ৬০ বছরের বেশি বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। এ পর্যন্ত ছয় কোটি লোককে সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। চার কোটি লোক ডাবল ডোজ টিকা পেয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ষাটোর্ধ্ব বা সিনিয়র সিটিজেন যারা আছেন, তাদের আমরা বুস্টার ডোজ টিকা দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি। বুস্টার ডোজ নিয়ে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর বসে সিদ্ধান্ত নেবে। অনেক দেশ দিচ্ছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে আগামীতে আমরা বুস্টার ডোজ দিতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশ ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াÑএরা দিচ্ছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেও এ বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন পিসিআর টেস্ট ও র্যাপিড টেস্ট আরও জোরদার করতে।’
