নিজস্ব প্রতিবেদক: সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বাড়ার শীর্ষে ছিল প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৫ কোটি ৪৬ লাখ ১৬ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে কোম্পানির ৭৭ কোটি ৩০ লাখ ৮৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গত বৃহস্পতিবার কোম্পানির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে এক টাকা ৫০ পয়সা বা এক দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৪৪ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৪৫ টাকা ৮০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৩৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৫৪ টাকার মধ্যে হাতবদল হয়। ওইদিন ১১ লাখ ৬৫ হাজার ২৯৭টি শেয়ার তিন হাজার ৯৫৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৬ কোটি ৭৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ৭২ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১৫৬ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে হাতবদল হয়। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৩ কোটি ৭৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৪৬ কোটি ১২ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। এ সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছিল তিন পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৩৯ টাকা ৬৩ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ২৬ পয়সা ও ২৮৭ টাকা ৫৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য ১৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় কারখানা প্রাঙ্গণে (টঙ্গী, গাজীপুর) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন ক্লোজিং কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে এক টাকা ৪৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৭১ পয়সা ছিল। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ৭২ পয়সা। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ২৩৮ টাকা ২১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৮৬ টাকা ৮৫ পয়সা। অর্থাৎ এনএভি কমেছে ৪৮ টাকা ৬৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছে তিন কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা আগের বছর ছিল ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস। ওই বছর কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল চার কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল আট কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
কোম্পানির দুই কোটি ৩৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, সরকারের কাছে ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ ও ৩৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।