ন্যাশনাল পলিমারের রাইটস ইস্যু অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের রাইটস শেয়ার ইস্যুর আবেদন অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, বিএসইসির ৭৫৩তম কমিশন সভায় প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটির রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। কোম্পানিটি ১:১ হিসেবে রাইটস শেয়ার ইস্যু অর্থাৎ বিদ্যমান প্রতি একটি শেয়ারের বিপরীতে একটি শেয়ার ইস্যু করবে। ন্যাশনাল পলিমারের ১০ টাকা মূল্যের তিন কোটি ৬৪ লাখ ৯১ হাজার ৮৩৪টি সাধারণ শেয়ার প্রতিটি ১৫ টাকা মূল্যে (শেয়ারপ্রতি পাঁচ টাকা প্রিমিয়াম) রাইটস শেয়ার হিসেবে ইস্যুর মাধ্যমে মোট ৫৪ কোটি ৭৩ লাখ ৭৭ হাজার ৫১০ টাকা মূলধন সংগ্রহের জন্য আবেদন করে। উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জমি ক্রয় ও উন্নয়ন, মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি, কার্যকরী মূলধন সংগ্রহ এবং ব্যাংক ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যে রাইটস শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। রাইটস শেয়ার ডকুমেন্ট অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি পুনঃমূল্যায়নসহ নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ৩৮ টাকা ৯৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) চার টাকা ২৫ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

কোম্পানিটি ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ২২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। সমাপ্ত এ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ২৫ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৯৮ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ পরিচালন অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ বা ছয় টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৭১ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৭১ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার ৮৫১টি শেয়ার তিন হাজার ৬৪০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৪ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬৯ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭১ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪৯ টাকা থেকে ৮৭ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ২২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে, যা তার আগের বছরের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ২৪ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৩২ পয়সা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ২৭ পয়সা ও ৫০ টাকা ৪২ পয়সা। ২০১৮ সালে মুনাফা করেছে সাত কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের বছর হয়েছিল ছয় কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট তিন কোটি ৬৪ লাখ ৯১ হাজার ৮৩৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৫ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১৬ দশমিক ৮৫ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৩৪ দশমিক ৪২।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০