নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল পলিমার লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক শামসুল আবেদিন আকন্দের কাছে থাকা ২১ হাজার ৫০০টি শেয়ার যৌথ হিসাব থেকে একক হিসাবে স্থানান্তরের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ১৬ কার্যদিবসের মধ্যে স্থানান্তর করে প্রতিবেদন দাখিল করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ব্রোকারেজ হাউজ ‘স্টক অ্যান্ড বন্ড লিমিটেড’কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সই করা এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে, যা গতকাল বিএসইসির ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যৌথ হিসাবের পরিবর্তে একক হিসাবে শেয়ার স্থানান্তরের জন্য ন্যাশনাল পলিমারের উদ্যোক্তা পরিচালক শামসুল আবেদিন আকন্দের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং এ-সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন ও অন্যান্য নথিপত্র পর্যালোচনা কমিশনের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট পরিচালকের ২১ হাজার ৫০০ শেয়ার একক হিসাব থেকে যৌথ হিসাবে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ডিএসইর অনুমোদন আইনসম্মত হয়নি। তাই বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজারের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং বাজার উন্নয়নের স্বার্থে ন্যাশনাল পলিমার লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক শামসুল আবেদিন আকন্দের ২১ হাজার ৫০০টি শেয়ার একক যৌথ হিসাব থেকে একক হিসাবে স্থানান্তর করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া আবশ্যক বলে মনে করছে কমিশন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি ন্যাশনাল পলিমারের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার হস্তান্তর করতে ডিএসই, সিডিবিএল, ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ এবং স্টক অ্যান্ড বন্ড লিমিটেডকে নির্দেশ দেওয়া হলো।
এর আগে একই ইস্যুতে মঙ্গলবার কমিশনের ৫৯২তম সভায় আইন লঙ্ঘনের দায়ে ডিএসইকে সতর্কপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। ডিএসই ২০০৭ সালে যথাযথ আইন পরিপালন না করে ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোক্তা শামসুল আবেদিন আকন্দের সাড়ে ২১ হাজারটি শেয়ার তার নিজের হিসাব থেকে যৌথ হিসাব স্থানান্তরের বিষয়টি অনুমোদন করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (শর্ট সেল) রেগুলেশন, ২০০৬ এর রেগুলেশন ৪(২) ভঙ্গ করেছে। ওই আইন ভঙ্গ করার কারণে কমিশন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সতর্কপত্র ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এছাড়া এ বিষয়ে তদন্ত চলাকালে কমিটিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্যাদি না দিয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স ১৯৬৯-এর সেকশন ২১(২) ভঙ্গ করেছেন কোম্পানির আরেক স্পন্সর খালেদা আকন্দকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে তদন্ত কমিটিকে ন্যাশনাল পলিমারের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ অসত্য তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে আইন লঙ্ঘন করেছে। এ কারণে কোম্পানিটিকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করে কমিশন।