নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭০ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ৭৬ পয়সা। জুলাই ২০২১ থেকে মার্চ ২০২০ পর্যন্ত প্রথম ৯ মাসের হিসাবে ইপিএস হয়েছে ৭ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮০ পয়সা।
২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ন্যাশনাল ফিডের পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এক শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগের বছরের জন্যও কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১৮ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা এবং আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫২ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ২০০ কোটি অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৩২৫টি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক সাত দশমিক ০১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৬২ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৬ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। যার সমাপনী দর ছিল ১৬ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ এক হাজার ৬৭টি শেয়ার ২০০ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ছিল ১৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৬ টাকা থেকে ১৬ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে লেনদেন হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৬ টাকা থেকে ৪৪ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে লেনদেন হয়।
