নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ মাইনাস’ আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি-২’। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।
‘বি’ ক্যাটেগরির ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠানটির ৫ হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩ হাজার ২১৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১ হাজার ৯৭২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এছাড়া বর্তমানে কোম্পানিটির মোট ৩২১ কোটি ৯৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭০ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের ২৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ০৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৪৫ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ টাকা ১৩ পয়সা (লোকসান)। আর ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৭ টাকা ২১ পয়সা (ঘাটতি)। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ১৩ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে প্রতিষ্ঠানটির। কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৩ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৮ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকের হিসেবে শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ৫ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩১ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ৯৫ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথমার্ধে বা প্রথম দুই প্রান্তিকে লোকসান বেড়েছে ১ টাকা ৩৬ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৯৯ পয়সা।
এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭ টাকা ৯৫ পয়সা (ঘাটতি), অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৮৯ পয়সা (ঘাটতি)। এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৪১ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৭ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৭ টাকা। দিনজুড়ে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৫৩টি শেয়ার মোট ২৬৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।