নিজস্ব প্রতিবেদক : যেসব পত্রিকার কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করেনি, তারা সরকারি কোনো ক্রোড়পত্র পাবে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিক সহায়তায় সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অষ্টম ওয়েজবোর্ড যারা বাস্তবায়ন করেনি, তাদের কোনো ক্রোড়পত্র দেব না। ক্রোড়পত্র তাড়াতাড়ি নেয়ার জন্য চারদিকে যে ঘোরাঘুরি, সেটা বন্ধ হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে যারা নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করবে না, সে ক্ষেত্রেও কী করা যায়, সেটি নিয়ে আমরা ভাবছিÑজানান ড. হাছান মাহমুদ।
দৈনিক পত্রিকার প্রচার সংখ্যা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ইংরেজি পত্রিকাগুলোর প্রচার সংখ্যা হালনাগাদ করে বাস্তবতার কাছাকাছি নিয়ে আসা হয়েছে। বাংলা পত্রিকাগুলোর ক্ষেত্রেও আমরা সেটা খুব সহসা করে দেব। অনেক পত্রিকা যেগুলো আসলে ঠিকভাবে প্রকাশিত হয় না, সেগুলোর বিপুল প্রচার সংখ্যা দেখানো হয়েছে, এসব অসংগতি দূর করে আমরা এগুলো ঠিক করছি। মন্ত্রী জানান, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অষ্টম ওয়েজবোর্ড যারা বাস্তবায়ন করেনি, তাদের আমরা সরকারের কোনো ক্রোড়পত্র দেব না এবং ভবিষ্যতে নবম ওয়েজবোর্ড যারা বাস্তবায়ন করবে না, সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, সেটি নিয়েও ভাবছি।
এর আগে সাংবাদিক সহায়তা চেক বিতরণের আগে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহেই এ কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হয়েছে এবং আজকে এ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের একটি ভরসার জায়গা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সুচারু এবং স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ট্রাস্ট পরিচালনার সঙ্গে সাংবাদিক নেতারা যুক্ত আছেন, যা উপকারভোগী নির্বাচনে সহায়ক হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ট্রাস্টের আওতায় অসচ্ছল সাংবাদিকদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা সহায়তা নীতিমালাও চূড়ান্ত হয়েছে।
০০০০০০০০০০০০
সূচকের মিশ্র প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: গতকাল মঙ্গলবার চলতি সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। তবে গতকাল ডিএসইতে প্রায় ১৭৩ কোটি টাকার লেনদেন বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়ে ছয় হাজার ৬৭৭ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৪৫৬ দশমিক ৪০ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ২ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ কমে দুই হাজার ৪৭৪ দশমিক ৩২ পয়েন্টে স্থির হয়।
ডিএসইতে এদিন মোট ৩৮১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১৬৩টির এবং কমেছে ১৬০টির। বাকি ৫৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৭৬৬ কোটি ৭৪ লাখ ৬৩ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৯৩ কোটি ১ লাখ ৬৩ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন বেড়েছে ১৭৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
ডিএসইতে এদিন ১৪ কোটি ৫২ লাখ ৩২ হাজার ৩৭০টি শেয়ার ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৯৩ বার হাতবদল হয়। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সূচকের উত্থান-পতনের চিত্র গেছে।
ডিএসইতে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। কোম্পানিটির ৫২ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জেএমআই হসপিটালের ৪০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ টাকা ৯০ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ, ওরিয়ন ফার্মার ৩৪ কোটি ৯৫ লাখ, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলসের ২৮ কোটি ৭২ লাখ, ইউনিক হোটেলের ২৮ কোটি ৬৮ লাখ এবং লাফার্জহোলসিমের ২২ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
এদিকে ৮ দশমিক ০১ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড। এর পরের অবস্থানে থাকা বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
