নিজস্ব প্রতিবেদক: গার্মেন্ট হেলপারদের জন্য ৬৫ শতাংশ মূল বেতনসহ ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকা ঘোষণা এবং জানুয়ারির মধ্যে মজুরি বোর্ড পুনর্গঠনসহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন গার্মেন্ট শ্রমিকরা। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
নেতারা বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম লাগামহীন বেড়েই চলেছে। ফলে পরিবহন খরচ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এতে গার্মেন্ট শ্রমিকসহ নি¤œ আয়ের মানুষ বর্তমানে দিশেহারা। শ্রমিকেরা বর্তমানে অনাহারে-অর্ধাহার থেকে শিল্পকারখানায় কাজ করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, দেশে যখনই শ্রম আইন বা বিধি প্রণীত হয়েছে, তাতে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী শব্দচয়ন সংযোজিত হয়েছে।
নেতারা কালা-কানুন বাতিল করে শ্রমিকবান্ধব শ্রম আইন ও বিধিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়ে বলেন, সরকারি ভর্তুকি মূল্যে চাল, ডাল, আটা, ভোজ্যতেল, চিনি প্রত্যেক শ্রমিক পরিবারকে দেয়ার লক্ষ্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু এখন সময়ের দাবি।
এ সময় বক্তারা বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রম অধিদপ্তর এবং ডাইফির দুর্নীতি আজ সীমাহীন এবং অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। শ্রম মন্ত্রণালয়কে অবিলম্বে দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এবং সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে, চলমান ৮ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন সংগ্রাম জোরদার করার লক্ষ্যে আগামী ২৭ জানুয়ারি গাজীপুর, ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম, ১০ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়া এলাকায় আঞ্চলিক শ্রমিক জমায়েত এবং আগামী ৬ মার্চ ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে শ্রমিক সমাবেশ থেকে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
সংগঠনের চেয়ারম্যান তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পরিষদের মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপন, ভাইস চেয়ারম্যান এম দেলোয়ার হোসেন, মাহতাব উদ্দিন সহিদ, সুলতানা বেগম, যুগ্ম মহাসচিব বজলুর রহমান বাবলু, ফিরোজা বেগম, আবদুল আজিজ, অর্থ সম্পাদক তাহমিনা রহমান, পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস হোসেন, তৌহিদ হোসেন খাঁন, মোবারক খাঁন, ফোরকান মৃধা সুমন, এনায়েত হোসেন খাঁন, রুমা আক্তার প্রমুখ।