নড়বড়ে কাঠের সেতুতে শীলা নদী পারাপার

এম ইদ্রিছ আলী, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার সান্দিয়াইন গ্রামে শীলা নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এ সেতুটি দিয়েই এলাকাবাসী ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী চলাচল করেন। তবে মানুষ উঠলেই নড়ে ওঠে সেতুটি। তাই যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্টের (এলজিএসপি) আওতায় রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ শীলা নদীর ওপর ১৯০ ফুট দীর্ঘ ও আট ফুট প্রস্থ কাঠের একটি সেতু নির্মাণ করে। নির্মাণের তিন বছর অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু নতুন করে সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা হয়নি। এখন সেতুটি প্রায় বিধ্বস্ত হওয়ার উপক্রম।

স্থানীয়রা জানান, রসুলপুর ইউনিয়নের সান্দিয়াইন, পাড়া সান্দিয়াইন, রসুলপুর, ছয়ানী রসুলপুর, নামা লক্ষণপুর, বাড়া ও চিলাকান্দা গ্রামের লোকজন সাধারণত এ সেতু দিয়ে চলাচল করে। এছাড়া স্থানীয় সান্দিয়াইন ও পাড়া সান্দিয়াইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রসুলপুর ও বাড়বাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বখুরা দাখিল মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং উপজেলা সদরে যেতে জনসাধারণকে এই কাঠের সেতু দিয়েই পারাপার হতে হয়।

সান্দিয়াইন গ্রামের সূর্যত আলী জানান, তিন বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কাঠ দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে সেতুটি তিন বছরেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেতুর পাটাতন ও রেলিং ভেঙে গেছে অনেক আগেই। সেতুটিতে ওঠার পর দোল খেতে থাকে।

একই গ্রামের মাজহারুল ইসলাম জানান, এখানকার স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের হাটবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে ঝুঁকিপূর্ণ এই কাঠের সেতুই ভরসা। তবে পারাপারে সবচেয়ে ঝুঁকিতে শিশু ও বৃদ্ধরা।

পাড়া সান্দিয়াইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান জানান, সেতুর বেশিরভাগ পাটাতনই ভেঙে গেছে। বাকিটুকু নরম হয়ে পড়েছে। সেতু দিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভয়ে থাকি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রশিদ জানান, প্রতিদিন অনেক শিশু-কিশোর সেতুর ওপারে উত্তর সান্দিয়াইন ও পাড়া সান্দিয়াইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রসুলপুর ও বাড়বাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বখুরা দাখিল মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পড়ালেখা করছে। তারা প্রতিদিন চরম ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সেতুটি পার হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে স্থায়ী একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি করা হলেও এখনও কিছুই হয়নি।

এ প্রসঙ্গে রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি বছর এলজিএসপি থেকে সেতুটি মেরামতের জন্য প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। শিগগির মেরামতকাজ শুরু হবে বলে আশা করছেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০